এক নব বিবাহিত দম্পতি নতুন বাসা নিয়েছে।
পরদিন সকালে তারা যখন নাশতা করছিলো, মেয়েটি জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলো কাপড় শুকাতে দিয়েছে ঘরের কর্ত্রী।
সে বলে উঠলো,
- 'কাপড়টা পরিষ্কার হয় নি, ঐ বাসার মহিলা ভালো করে কাপড় ধুতে জানে না।তার মনে হয় ভালো কোন কাপড় কাচার সাবান দরকার।"
...
মেয়েটির স্বামী সেদিকে তাকালো, কিন্তু নিশ্চুপ রইলো।
যতবারই পাশের বাড়ির মহিলাটি কাপড় শুকাতে দিতো, ততবারই এই মেয়েটি একই মন্তব্য করতো।
মাসখানেক পরে সেই বাড়িতে সুন্দর পরিষ্কার কাপড় শুকানোর জন্য ঝুলতে দেখে মেয়েটি অবাক হয়ে তার স্বামীকে বললো,
"দেখো, অবশেষে উনি শিখেছেন কীভাবে ঠিকভাবে কাপড় ধুতে হয়। আমি তো ভাবছি কে তাকে শেখালো!!"
তখন ছেলেটি বলে উঠলো,
"শোনো, আজ ভোরে আমি আমাদের জানালার কাঁচ পরিষ্কার করেছি!"
.....
আমাদের জীবনটাও এমনই --
"আমরা কোন কিছু দেখার সময় যা দেখি তা নির্ভর করে আমাদের দেখার চোখ ও মনের
জানালার পরিচ্ছন্নতার উপর যা দিয়ে আমরা দেখি। কোন সমালোচনা করার আগে আমাদের
নিজের মনের অবস্থাটা খেয়াল করে নেয়া প্রয়োজন,
নিজেদেরকে প্রশ্ন করা দরকার যে আমরা কি তার মাঝে কোন ভালো দেখতে চাই আদৌ?
নাকি মানুষটার দিকে তাকাচ্ছি তার ভুলগুলো খুঁজে পেতে বিচার করবো বলেই।"
সবাই তো পড়লাম... আসুন তা নিজেদেরকে স্মরণ করিয়ে দিই।
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।
বৃদ্ধাশ্রমে
এক বৃদ্ধ মহিলা সব সময় মন খারাপ করে বসে থাকতেন। তিনি কখনোই কারো সাথে
কোনো কথা বলতেন না । বৃদ্ধাশ্রমের রেজিস্টার খাতায় লেখা না থাকলেও সবাই
তিনি কথা বলতে পারেন না বলেই ধরে নিয়েছিলো। তিনি কাউকে কখনো কোনো কিছুর
জন্য অনুরোধও করতেন না। দিনের বেশির ভাগ সময়ে তার দোলন চেয়ারে বসে দোল
খেতেন।
বৃদ্ধাকে তার কোনো আত্বীয় কখনো দেখতেও আসতো না। কিন্তু প্রতিদিন সকালে এক সহৃদয় নার্স তার রুমে যেতো। সে কখনোই
বৃদ্ধার সাথে কোনো কথা বলার চেষ্টা করতো না,কোনো প্রশ্নও করতো না। শুধু
আরেকটি চেয়ার বৃদ্ধার পাশে টেনে নিতো এবং তার সাথে বসে থাকতো।
এভাবে সপ্তহের পর সপ্তাহ গেল, মাসের পর মাস গেল।বৃদ্ধা একদিন নার্সের দিকে
তাকিয়ে অশ্রুসজল কন্ঠে বলে উঠলো, 'ধন্যবাদ','তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে সময়
দেওয়ার জন্য।'
আপনার বৃদ্ধ মা-বাবা আপনার কাছে খুব বেশি কিছু চান না। তারা আপনার ব্যস্ত দিনের খুব ছোট একটা সময় চান।
বলা হয়ে থাকে ভালোবাসা দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে খুব আস্তে আস্তে কড়া নাড়তে থাকে। খুব নীরবে সে ডেকে যায়, একটু শোনার সময় আপনার আছে কি?
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।
একদল
ডাকাত ব্যাংকে ঢুকল ডাকাতির জন্য। উপস্থিত গ্রাহক আর কর্মচারীরা বাধা দেবার
চেষ্টা করল। ডাকাতেরা বলল " ভাইসব, টাকা গেলে সরকারের যাবে, আর প্রাণ গেলে
যাবে আপনার। আপনারাই বুঝুন কোনটা বাঁচাবেন" - এই কথা শুনে সবাই বসে গেল।
ডাকাতরা নির্বিঘ্নে টাকা নিয়ে চলে গেল।
শিক্ষণীয় : মানুষের মাঝে স্বার্থ ভিত্তিক বিভাজন সৃষ্টি কর। তাহলে তারা তোমার অন্যায় কাজ প্রতিরোধ করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবে।
ডাকাতেরা তাদের
নিয়ে আসা বস্তা ভর্তি করে যতদূর সম্ভব টাকা নিয়ে আস্তানায় ফিরে গেল। যে
ডাকাতের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছিল সে বলল,এবার আমাদের দরকার আমরা কত
টাকা লুঠ করলাম তা গুনে দেখা। সবচেয়েপ্রবীণ ডাকাত বলল " ধুর, এত টাকা
গুনতে তো অনেক কষ্ট হবে। একটু পরেই টিভি তে বলবে কত টাকা লুট হয়েছিল। আমরা
তখন ই যেনে যাব।"
শিক্ষণীয় : অনেক ক্ষেত্রে কাগজে ডিগ্রির চেয়ে অভিজ্ঞতা মূল্য বেশী।
ঘটনা শুনে মন্ত্রী মহোদয় ব্যাংক পরিদর্শনে গেলেন। তিনি নিরাপত্তা
সংশ্লিষ্টদের বললেন , ডাকাতেরা মাত্র কয়েক বস্তা টাকাই তো মাত্র নিয়েছে।
বেশির ভাগ টাকই তো রয়ে গেছে, আর সেফ ডিপোজিট বক্সগুলোও তো আছে। আসুন ভাইসব
আমারা ওগুলো নিজেদের মাঝে ভাগ করে নেই । কেউ বুঝতেও পারবেনা। সব দোষ
ডাকাতদের উপর চাপিয়ে দিলেই হবে ।
শিক্ষণীয় : যে যত উপরে, তাঁর চুরি ততোবড় এবং তা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
রাতে টিভিতে সংবাদ এলো, ব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকাসহ হাজার ভরি
স্বর্ণালঙ্কার লুঠ। ডাকাতরা হাজারবার গুনেও তাদের বস্তায় ১কোটি টাকার উপর
পেলনা। আর স্বর্ণালঙ্কার তো তারা নিতেই পারে নি। যাইহোক, অবশেষে ডাকাত দল
ধরা পড়ল, রিমান্ডে গিয়ে স্বীকারও করতে হল তারাই সব ডাকাতি করেছে। সবার
যাবজ্জীবন সাজাও হয়ে গেল।
শিক্ষণীয় : চুরি ডাকাতি করার ইচ্ছা থাকলে ভোটে দাড়িয়ে ক্ষমতায় যেয়ে করাটাই বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নির্ভুল ও নিরাপদ পদ্ধতি।
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।
ভাল
খেলতে পারেন না বলে তাকে হাই স্কুলের বাস্কেটবল টিম থেকে বাদ দেয়া
হয়েছিলো, নিজের রুমের দরজা লাগিয়ে কেঁদেছিলেন তিনি। আর আজ আমরা বাস্কেটবল
বলতে তাকে চিনি, তার নাম-- মাইকেল জর্ডান ।
টিচার বলেছিলেন তিনি
ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র, তাঁর পক্ষে কিছু বোঝা সম্ভব না অথচ আজ আমরা
আলোর মুখ দেখেছি তাঁর জন্যেই, তিনি হলেন বৈদ্যুতিক বাতি সহ আরও অসংখ্য
জিনিসের প্রতিভাবান আবিষ্কারক--টমাস আলভা এডিসন ।
নিউজপেপারের
চাকরি থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো,কারন তাঁর মাথায় নতুন কিছুর প্ল্যান
আসতো না, তাঁর চিন্তাশক্তি তাঁর পোষ্টের জন্য উপযুক্ত ছিল না...তিনি হলেন
ডিজনি ল্যান্ড ও হলিউডের সব ডিজনি চরিত্রের উদ্ভাবক--- ওয়াল্ট ডিজনি ।
তাঁর বাগদত্তা মারা গিয়েছিলো, তাঁর ব্যবসা দুইবার ডুবেছিলো, একবার হার্ট
এ্যাটাক হয়েছিলো এবং সে আট বার নির্বাচনে হেরেছিলো---আব্রাহাম লিঙ্কন ।
ডেকো মিউজিক কোম্পানী তাদের এ্যালবাম বের করতে মানা করে দিয়েছিলো,
বলেছিলো তাদের গান সময়ের সাথে যায় না, তাদের মিউজিক কোয়ালিটি ভাল
না----তারা হলেন বিখ্যাত মিউজিক ব্যান্ড বিটলস ।
তুমি যদি জীবনে
কখনো না হেরে থাকো, তবে আমি বলবো তুমি এই পৃ্থিবীতেই ছিলে না। প্রতিটি হারই
সাময়িক, প্রতিটি হার একটি শিক্ষা, যে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে
যায়, চেষ্টা অব্যাহত রাখে, জয় একদিন তার করায়ত্ত হবেই । আর এই সাময়িক এই
হারে যে মানসিক ভাবে হেরে যায়, ভেঙে যায়, থেমে যায়, জয়ের চেষ্টা বন্ধ করে
দেয়, সে সত্যিই হেরে যায় ।
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।
সমুদ্রের
মাঝখানে এক জাহাজ প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে পরে লন্ডভন্ড হয়ে গেল। সেই জাহাজের
বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী ভাসতে ভাসতে এক নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। জ্ঞান
ফেরার পর প্রথমেই সে আল্লাহর কাছে প্রানখুলে ধন্যবাদ জানালো তার জীবন
বাঁচানোর জন্যে। প্রতিদিন সে দ্বীপের তীরে এসে বসে থাকতো যদি কোনো জাহাজ
সেদিকে আসে এই আশায়।কিন্তু প্রতিদিনই তাকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হতো।এরই
মধ্যে সে সমুদ্রতীরে তার জন্যে একটা ছোট ঘর তৈরী করে ফেললো। সমুদ্রের মাছ ধরে এবং বন থেকে ফলমূল শিকার সে বেঁচে থাকলো।
এরই মধ্যে সে একদিন খাবারের খোঁজে বনের মধ্যে গেল। বন থেকে সে যখন ফিরে
এলো তখন দেখলো যে তার রান্না করার চুলা থেকে আগুন লেগে পুরো ঘরটিই ছাই হয়ে
গিয়েছে এবং তার কালো ধোঁয়ায় আকাশ ভরে গিয়েছে।লোকটি চিৎকার করে উঠলো,
‘হায় আল্লাহ,তুমি আমার ভাগ্যে এটাও রেখেছিলে!’
পরদিন সকালে এক জাহাজের আওয়াজে তার ঘুম ভাঙলো।জাহাজটি সেই দ্বীপের দিকে তাকে উদ্ধার করার জন্যই আসছিলো। সে অবাক হয়ে বললো,
‘তোমরা কিভাবে জানলে যে আমি এখানে আটকা পরে আছি!’
জাহাজের ক্যাপ্টেন জানালো,‘তোমার জ্বালানো ধোঁয়ার সংকেত দেখে।’
যখন আমরা খুব বিপদে পরি তখন আমরা প্রায় সবাই হতাশ হয়ে পড়ি।আমরা ভুলে যাই,'তিনি যা করেন তা আমাদের ভালোর জন্যেই করেন।'
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।
এক
রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, "রাজা মশাই,
কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা আল্লাহ যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।"
একবার তারা শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো।
রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল খুইয়ে
বসেছেন।
রাগে-যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে, "আল্লাহ যদি ভালোই হবে তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।"
চাকর বলল, "এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব, আল্লাহ সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজর করেন; কোনো ভুল করেন না।
চাকরের এই কথায় আরও ত্যক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন।
এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে
বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত। বলি দিতে যেয়ে
তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার
উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।
প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম
দিলেন। চাকরকে এনে বললেন,"ভাই, আল্লাহ আসলেই ভালো। আমি আজ প্রায় মরতেই
বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না-থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
"তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আল্লাহ ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?"
চাকর বলল, "রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ
আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই
আল্লাহ যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।"
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।