শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৩

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় – রাজকীয় শিক্ষা ব্যবস্থা ।


একটা রাজ পরিবারের গল্প বলি। অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক রাজার ছিল একটি মাত্র পুত্র। বৃদ্ধ রাজার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী হিসেবে সিংহাসনে বসলেন তার সেই একমাত্র পুত্র। একে রাজার ছেলে তায় আবার সবেধন নীলমণি তাই সবরকম ভোগবিলাস আর আরাম আয়েশের মধ্যে দিয়ে সময় ঠিকই কেটে গেছে কিন্তু কষ্ট করে লেখাপড়াটা আর শেখা হয়ে উঠেনি। নতুন রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসার পর তাই লেখাপড়া না জানার কারনে রাজ্য পরিচালনায় নানামুখী স্যমস্যা দেখা দিল। লোকজন আড়ালে আবডালে তাকে মূর্খ রাজা বলে ডাকতে শুরু করলো। এক কান দুই কান করে এই কথা রাজার কানেও এসে পৌছাল। তাই একদিন রাজা রাজ্যের সমস্ত শিক্ষিত পণ্ডিতদের ডেকে পাঠালেন। যথাসময়ে পণ্ডিতরা এসে পৌঁছালে রাজা তাদের বললেন,আপনারা যে পদ্ধতিতে লেখাপড়া শিখেছেন তা অনেক সময় সাপেক্ষ ও কষ্টকর। এটা ফকির মিসকিনদের লেখাপড়ার পদ্ধতি। আমি রাজা আমার এত সময় নেই। তাই আপনারা এমন একটা রাজকীয় শিক্ষা ব্যবস্থা বের করুন যাতে খুব দ্রুত ও সহজে সমস্ত কিছু শিখে ফেলা যায়। আপনাদের সাতদিন সময় দেয়া হল।
রাজার এই কথায় সেকেলে পণ্ডিতরা মহা সমস্যায় পড়ে গেলেন । তারা ভেবে ভেবে আকুল হলেন কিন্তু কোন পদ্ধতি বের করতে পারলেন না । সাতদিন পর তারা রাজ দরবারে এসে জানালেন  জাঁহাপনা, সব মানুষের জন্য লেখাপড়ার পদ্ধতি একই। সহজ কোন রাজকীয় পদ্ধতি নেই। লেখাপড়া শিখতে হলে এভাবে কষ্ট করেই শিখতে হবে
পণ্ডিতদের এই কথা শুনে মূর্খ রাজা গেলেন বেজায় চটে। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই ব্যর্থতার শাস্তি হিসেবে তিনি সমস্ত পণ্ডিতদের মৃত্যুদণ্ড দিবেন। এতে আর একটা লাভও হবে দেশে কোন শিক্ষিত লোক না থাকলে লোকজন আর তাকে মূর্খও বলতে পারবে না ।

ঐ যুগের এনালগ পণ্ডিতরা আসলে আজকের ডিজিটাল পণ্ডিতদের মত এতটা স্মার্ট ও জ্ঞানপাপী ছিলেন না  তাই তারা মূর্খ রাজার সমস্যার সমাধান দিতে না পেরে বিনা অপরাধে গুরুদণ্ড পেয়েছিলেন। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাধিক্যের কারনে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে অপর্যাপ্ত আসন সংখ্যা ও শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো সস্তার তিন অবস্থা হওয়ার সুযোগ নিয়ে আজকালকার কিছু ডিজিটাল জ্ঞানপাপী বের করে ফেলেছে সেই রাজকীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। আর সেটা হল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি সংক্রান্ত কোন দুশ্চিন্তা নেই। খুব বেশী কষ্ট করার দরকার নাই।
যা শুধু পরীক্ষায় আসবে সেরকম গুটি কয়েক নিদিষ্ট প্রশ্ন পড়ানো হয় । প্রায় সব ছাত্র ছাত্রীই নিদিষ্ট সময় শেষে খুব ভাল CGPA নিয়ে পাস করে যাবে । কিন্তু শর্ত একটাই তা হল তার অবিভাবকের থাকতে হবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দেবার ক্ষমতা । ইদানিং নাকি কোন কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে পরীক্ষা ছাড়াই সার্টিফিকেটও পাওয়া যায় জায়গা মত মালপানি দিতে পারলেই। আসলে বেশীরভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যতটা না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার চেয়ে অনেক বেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখন প্রশ্ন হল কারা পড়ছে এইসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে। ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাধিক্যের কারনে সবগুলো সরকারী চিকিৎসা, প্রকৌশল সহ বিশ্ববিদ্যালইয়ে ভর্তি অত্যন্ত প্রতিযোগিতা পূর্ণ। তাই শুধু সত্যিকার মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরাই এগুলোতে পড়াশুনা করার সুযোগ পায়। মেধাবী মানেই তো পরিশ্রমী। টমাস আলভা এডিসন বলেছিলেন মেধা বা প্রতিভার ৯৮ ভাগই হল পরিশ্রম আর বাকি দুই ভাগ হল ভাগ্য। কিন্তু রাজা রাজরাদের আমল চলে গেলেও সেই আমলের রাজাদের বংশধররা তো রয়ে গেছেন। সেই সব মুকুট ও সিংহাসন বিহীন রাজাদের বংশধররা যারা পরিশ্রম করতে পারবেন না কিন্তু অর্থের বিনিময়ে  সার্টিফিকেট চাই।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী এই প্রজন্মকে আবার কয়েকটি উপ শ্রেনীতে ভাগে ভাগ করা যায় ।
১। উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তান যাদের টাকা পয়সার আভাব নাই । কষ্ট করে পড়াশোনা করার অভিরুচি এদের নাই।এদের শুধু লোক জনকে বলার জন্য অর্থাৎ Ego Needs Fulfill করার জন্য সার্টিফিকেট চাই ।
২। উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তান যাদের নিজস্ব ব্যাবসা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে।  এদেরও সময় নষ্ট ও কষ্ট করে পড়াশোনা করার অভিরুচি নাই । অর্থের বিনিময়ে শুধু সার্টিফিকেট চাই। কাজ এরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানেই করবেন ।
৩। উচ্চ মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান যাদের নিজস্ব ব্যাবসা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকলেও ভাল কানেকশন আছে। সার্টিফিকেট চাই শুধু আনুষ্ঠানিকতা পুরনের জন্য ।
৪। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান যারা উপরের তিন শ্রেনীর দেখাদেখি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াটাকে আভিজ্যাতের পরিচায়ক মনে করে জমি জমা, গহনা গাটি, ধান চাল, পান সুপারি, আলু পটল বিক্রি করে বা বাবার কষ্টের পেনশন বা সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় কিন্তু ভুলটা বুঝতে পারে চাকরির বাজারে ঢোকার পর কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। এই শ্রেণীর বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা ততটা শিক্ষিত বা সচেতন নয় বলে তারা কিসে সন্তানের সত্যিকার ভাল হবে তা ভালভাবে বুঝতে না পেরেই নিজের সর্বস্ব দিয়ে দেয় সন্তানের কল্যাণ চিন্তা করে। একটা ঘটনা বলি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমার পাশের রুমের এক ছাত্রের কাছে তার এলাকার এক ছোট ভাই ফোন করেছে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য । সে খুব উচ্চ স্বরে কথা বলছে ফলে আমার রুম থেকে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে । সে জানতে চাচ্ছে এই তোমার দুইটা সেকেন্ড ডিভিশন আছে তো নাহলে কিন্তু ভর্তি হওয়া কঠিন হয়ে যাবে।যেখানে তৃতীয় শ্রেণীকে অনেক ক্ষেত্রেই ফেলের সমতুল্য ধরা হয় । ভাল কোন জায়গায় ভর্তি পরিক্ষাই দেয়া যায় না। সেখানে সে বলছে ভর্তি করা যাবে তবে একটু কঠিন হবে। মানে টাকা একটু বেশী লাগবে এই আর কি!
চাকরির বাজারে ঢুকে এই শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের প্রায়ই যেসব কথা শুনতে হয় বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্ততে তার থেকে কয়েকটা উল্লেখ করছি কত টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট কিনছেন? বা এসব ডিগ্রী তো এখন গরু ছাগলেও নেয় ... ইত্যাদি ইত্যাদি । আমার পরিচিত এমনি একজন একবার দুঃখ করে বলছিল আগে তো বুঝিনি এখন বুঝতে পারছি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে জীবনটা নষ্ট করে ফেলেছি । তবে এক্ষেত্রে দুই একটা ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় কিন্তু ব্যতিক্রম কখনো দৃষ্টান্ত নয় ।
আর এই শ্রেণীর মেয়ে সন্তানদেরও অনেক সময় দেখা যায় স্টাইল বা বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানোর জন্য গায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট লাগাতে।

এই চারটি শ্রেনীর সাথে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে আরও একটি শ্রেণী ।
৫। এরা হল চাকরীজীবি শ্রেণী। কাজের চাপ, সময় কম তাই বিনা আয়েশে কিছু টাকা খরচ করে বাড়তি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে এই তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে ক্যারিয়ারটা যদি আর একটু এগিয়ে নেয়া যায় এই আর কি!

আমার এক বন্ধু যুক্তি দেখিয়ে বলল স্মার্টনেস, লাইফ স্টাইল, সোশ্যাল স্ট্যাটাস, ষ্ট্যাণ্ডার্ড অফ লিভিং সব কিছুতেই তো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা এগিয়ে আছে। আর তাদের অনেকেই তো ভাল ক্যারিয়ারও তৈরি করেছে । এই বন্ধু আসলে এ যুক্তি দিয়ে ঐ প্রথম তিনটি শ্রেণীকেই বোঝাতে চেয়েছেন যারা জন্মগত ভাবেই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন । আমি আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি যারা নিজেরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত তাদের মধ্যে দুই একজন বুদ্ধিমান মানুষ বাদে প্রায় সবাই যুক্তিহীন ভাবে বা মনগড়া যুক্তি দিয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্ধ সমর্থন দিয়ে যায়। এমন অনেকেও আছেন যারা এক সময় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘোর বিরোধী ছিলেন কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার তাদের অবস্থান বদলে যেতে দেখেছি । আমার ছাত্র জীবনের দীর্ঘ একটা সময় আমার বিভিন্ন  বেসরকারি শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মেশার ও তাদের জীবনযাত্রা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। এই অভিমত মুলত আমার সেই অভিজ্ঞতা ও দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে লেখা । তবে আবারো বলছি এক্ষেত্রে দুই একটা ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় কিন্তু ব্যতিক্রম কখনো দৃষ্টান্ত নয়।আমার এই লেখার উদ্দেশ্য ব্যাক্তিগত ভাবে কাউকে ছোট করা নয়। শিক্ষার নামে ব্যাঙয়ের ছাতার মত গজিয়ে উঠা বেশীর ভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ যে ব্যবসা ও ভণ্ডামি চলছে তার প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা ।  



ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
  

শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৩

আমি ধর্ষিত মেয়েটির অধিকারের কথা বলতে যাই, তাই আমি বিকৃত রুচির মানুষ ।

ময়না গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। টঙ্গীর একটি গ্রামে ময়নার বাড়ি। প্রতিদিন ভোরবেলা সে বাড়ি থেকে বের হয় এবং কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে তার রাত হয়ে যায়। একদিন গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে দেখে আকাশে খুব কালো মেঘ করেছে এবং একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। এ অবস্থায় খুব কষ্টে সে বাড়ির দিকে রওনা করে। গ্রামে ঢোকার ঠিক আগে বড় মাঠটি পার হওয়ার সময় ২টি ছেলে তাকে জোর করে ধরে পাশে পাট ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে।
সারারাত অজ্ঞান অবস্থায় ময়না ক্ষেতের মধ্যেই ছিল। সকাল বেলা ওদের গ্রামের কৃষকরা ময়নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরকম ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটছে কিন্তু কেন এসব ঘটছে বা এর প্রতিকার কি ? কিভাবে সামাজিক সচেতনতা, মূল্যবোধ ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজকে এই কলঙ্কের বাহুপাশ থেকে মুক্ত করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে । এমন ঘটনা আজকে অন্য কারো সাথে ঘটছে বলে যদি আমরা চুপ করে বসে থাকি তাহলে একদিন আমরা আমাদের নিজ পরিবারের নিরাপত্তা কি দিতে পারব ? আজ কি আমরা নিরাপদ ?
ধর্ষণ আজ আমাদের সমাজের চোখে একটি ঘৃণ্য ঘটনা । আমাদের চারপাশে এটি ঘটছে অহরহ । যে ধর্ষক পুরুষটি এ ঘটনার জন্য দায়ী সে সমাজের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাভাবিকভাবে আর এ ঘটনার দায় ধর্ষিতা মেয়েটিকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে একক ভাবে । কেউ এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে না । কেউ ধর্ষিতা মেয়েটির অধিকারের কথা বলছে না । তাকে অন্যের কৃতকর্মের বোঝা মাথায় নিয়ে বেছে নিতে হচ্ছে এক ঘৃণিত জীবন । আমি সেই ধর্ষিত মেয়েটির অধিকারের কথা বলতে যাই, তাই আমি বিকৃত রুচির মানুষ ।


ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।


আমাদের ফেসবুক লিঙ্ক  আমি ধর্ষিত মেয়েটির অধিকারের কথা বলতে যাই, তাই আমি বিকৃত রুচির মানুষ ।

তামিম ও আয়েশার বিয়ে ।




সব মহলেই অভিনেতা, ক্রিকেটারদের মতো তারকাদের বিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে বরাবরই ভীষণ আগ্রহ থাকে। কিন্তু তামিম ইকবালের বিয়ে নিয়ে তুমুল হইচই যেন আগের সব রেকর্ডই ছাপিয়ে গেছে। আর তার একটা বড় কারণ, এমন বিপুল আড়ম্বর আর জাঁকজমকের বিয়ে বাংলাদেশে প্রায় হাতে গোণা। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল বহুল প্রতীক্ষিত তামিম- আয়েশার বিয়ে চট্টগ্রাম ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ড কমপ্লেক্সশনিবারঘড়ির কাঁটা তখন রাত ৮টার ঘরেএকে একে আসতে থাকলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাঅতিথিদের আগমনে মুখর পুরো টেনিস কমপ্লেক্স
রাত ৮টা ৩৮মিনিটে বিয়ের আসরে হাজির হন আয়েশা সিদ্দিকীতামিমের এ নববধুর পরনে ছিল হালকা গোলাপী রঙের লেহেঙ্গা আয়েশা আগ্রাবাদের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন ও মমতাজ বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা প্রতীক্ষারত নববধুকে সঙ্গ দিতে রাত ১০টা ২০মিনিটের দিকে আসরে হাজির হন তামিম ইকবালসোনালী রঙের পাগড়ী আর কালো শেরওয়ানী পরেছিলেন তামিম তামিমের সঙ্গে বন্ধু-বান্ধবরা ছাড়াও ৫০ জনের ব্যান্ড দল ছিলবিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাঢাকা থেকেও যান অনেকে

তামিম ইকবালের মা নুসরাত ইকবাল বলেন, ‘মা হিসেবে আমি খুবই খুশী তামিমের বিয়েতে ভাই-বোন,  আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব সবার মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছেআমি এ নবদম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়াপ্রার্থীতারা সুখী হলে আমি সুখী'
বিয়ের পর কাজীর দেউরির বিখ্যাত খান পরিবারের বসতি গড়তে যাচ্ছেন এ নবদম্পতিতবে এখনো হানিমুনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলে জানালেন মা নুসরাত ইকবাল
সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় দলের ক্রিকেট ক্যাম্প ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তামিম ব্যস্ততা শেষ হলে হানিমুনের পরিকল্পনা করা হবে'
গত কয়েকদিন ধরে নগরবাসীর দৃষ্টি হাই-প্রোফাইল এ বিয়ের দিকেদু'পরিবারের পক্ষ থেকে তাই চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনদের জানানো হয়েছিল আমন্ত্রণঅতিথির সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার
সোমনাথ ঘোষ, সাবেক ক্রিকেটার ও জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খানএবং তামিমের চট্টগ্রাম সতীর্থ ক্রিকেটারা 
পাইলট তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আশা করি বিয়ের পর তামিম আরো বেশি করে চার-ছক্কা মারবে! ওদের বিবাহিত-জীবনের সাফল্য কামনা করছি হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, “তামিম আকরাম ভাইয়ের ভাতিজাতবে তার চেয়েও বড় কথা সে দেশের গর্ব, সবার প্রিয় তারকাতার খেলা আমার খুব ভালো লাগেবিয়ের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ


ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট ।

চুদুরবুদুর ডটকম ।


চুদুরবুদুর ডটকমে সংসদের ওয়েবপেজ । 
 
কয়েকদিন আগে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় জাতীয় সংসদের ওয়েব এ্যাড্রেস হ্যাকড হয়েছেজাতীয় সংসদের ওয়েব ঠিকানা www.parliament.gov.bd তবে গত কয়েকদিন থেকেই একই সঙ্গে চুদুরবুদুরডটকম www.chudurbudur.com/ লিখলেও সংসদেরই ওয়েবসাইটটি দেখা যাচ্ছিল! সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক এবং কয়েকটি আইটি ব্লগের মাধ্যমে প্রথমে বিষয়টি জানাজানি হয় তবে, আইটি এক্সপার্টরা জানিয়েছেন ভিন্নমততাদের মতে, সংসদের মূল ওয়েবসাইট থেকে সোর্স ফাইলগুলো কপি করে চুদুরবুদুর ডটকমের ডোমেইনে পেস্ট করা হয়েছে যে কারণে সংসদের মূল সাইটের মতোই দেখা যাচ্ছে এ সাইটটিপ্রযুক্তি কারিগরি ভাষায়  একে বলা হয়ে থাকে আইফ্রেম
ডোমেইন নিবন্ধন বিষয়ক তথ্যভাণ্ডার হুয়িজডটনেটের তথ্য অনুযায়ী, ডোমেইন নিবন্ধনদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান গো ড্যাডিতে ডোমেইনটি নিবন্ধন করা হয় গত ১৩ জুনতবে নিবন্ধনকারী তার পরিচয় গোপন রেখেছেন
উল্লেখ্য, সংসদে চলতি বাজেট অধিবেশনে গত ৯ জুন বিএনপির এমপি রেহানা আক্তার জাতীয় সংসদে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় বলেছিলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়া কোনো চুদুরবুদুর চইলত নতারপর থেকে এ বাক্যটি নিয়ে সংসদ ও সংসদের বাইরে ব্যাপক বিতর্ক চলছেকলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা এ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন ছাপেপত্রিকাটি লেখে-চুদুরবুদুর কোনো গালি নয়এটি আঞ্চলিক শব্দএর অর্থ টালবাহানা, বাড়াবাড়ি, গড়িমসিএ শব্দটি নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সংসদ উত্তপ্ত করে তোলেনতারা রেহানা আক্তার রানুর তীব্র সমালোচনায় মুখর হনএকজন বলেন, এই শব্দটি বিশেষ পেশার মেয়েরা ব্যবহার করে
কিন্তু সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদের কার্যপ্রবাহ থেকে চুদুরবুদুরবাদ (এক্সপাঞ্জ) করা হবে নাচুদুরবুদুর নিয়ে আর যাতে রসিকতা বা সমালোচনার ঝড় উঠে তাই, বিটিআরসি  কর্তৃক চুদুরবুদুরডটকমনামের ওয়েবপেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে

ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট ।

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৩

মহামতি অ্যালেক্সান্ডারের শেষ ইচ্ছা ও একটি অমূল্য শিক্ষা ।



মহামতি অ্যালেক্সান্ডার
কিংবদন্তি সম্রাট অ্যালেক্সান্ডার তার মৃত্যুশয্যায় সামরিক বাহীনির সকল জেনারেলদের কে ডেকে তার তিনটি শেষ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে বলেছিলেন তোমরা আমার এই ইচ্ছা গুলোর কথা লিখে রাখবে আর আমার মৃত্যুর পর তা যথাযথ ভাবে পালন করবে

তার শেষ তিনটি ইচ্ছা ছিলঃ

১. রাজ্যের সেরা চিকিৎসকেরা আমার কফিন বহন করবে

২. আমার সকল ধন-সম্পদ (নগদ অর্থ, সোনা-রূপা, রত্নালঙ্কার) আমার কফিনের সাথে কবরস্থানে নিয়ে যাবেআমাকে কবরস্ত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যু শোভাযাত্রায় অংশ-কারীদেরকে খোলা ময়দানে এসব সম্পদরাজি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, খুলে-মেলে দেখাবে!

৩. আমার হাত দুটি উন্মুক্ত অবস্থায় কফিনের বাহিরে বের করে রাখবে, যাতে সকলেই  
আমার দুটি শূন্য হাত দেখতে পায়!
 
অ্যালেক্সান্ডারের অতীত চিন্তা, কর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে বিপরীত ধরণের ইচ্ছার কথা শুনে একজন জেনারেল অতি কৌতূহলে প্রশ্ন করলেন, এই আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি কি আমাদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন?
মহামতি অ্যালেক্সান্ডার তার উত্তরে বললেন,

১. সেরা চিকিৎসকেরা লাশের কফিন বহন করার অর্থ হল, “মানুষ বুঝতে পারুক মৃত্যুই মানুষের অমোঘ নিয়তি । দুনিয়ার কোন শক্তি, কোন চিকিৎসা ব্যবস্থাই মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে পারে না” ।

২. অর্জিত সম্পদ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, খুলে-মেলে দেখানোর অর্থ হল, “সবাই দেখুক, আমি পুরো দুনিয়া জুড়ে অভিযান চালিয়ে যে বিপুল সম্পদ আরোহণ করেছিলাম মৃত্যুকালে সে সম্পদের কিছুই আমার সাথে যায়নি, সমুদয় সম্পদরাজি পৃথিবীতেই থেকে গেছে”!

৩. কফিনের বাইরে দুটি শূন্য হাত প্রদর্শনের অর্থ হল মানুষ দেখুক, “শূন্য হাতে এই পৃথিবীতে আমার আগমন হয়েছিল এবং শূন্য হাতেই বিদায় নিচ্ছি, বিপুল সম্পদরাজি আমার করতলগত ছিল কিন্তু এইসব আপাত মূল্যবান উপকরণের কোনটাই সম্পদ নয়দুনিয়ার প্রকৃত সম্পদ হল সময়’! কারন সময় সীমিত! চেষ্টার মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানো যায় কিন্তু কোন ভাবেই সময় বাড়ানো যায় না ! কারো জন্য যদি কিছুটা সময় ব্যয় করা হয়, তাহলে জীবনের একটি অংশকে তার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়, যেটা আর কোনদিন ফিরে পাওয়া যায় না ! সময় হল সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং এটাই আমাদের জীবন

ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট ।

আম যখন শসা ।

চওসা আম

আপনি দোকানীকে বললেন ০২ কেজি “শসা” দিন । দোকানী আপনাকে ০২ কেজি “আম” মেপে দিল । আপনি ০২ কেজি আমের দাম ১২০ টাকা কেজি হিসেবে মোট ২৪০ টাকা দিলেন । এর থেকে আপনি কি বুঝলেন ?
এরকম একটি ঘটনা আমার সাথে আজ ঘটেছে । আপনি ভেবে বোধহয় অবাক হচ্ছেন যে “শসা” চাওয়া হল অথচ দোকানী দিল “আম” । আর ক্রেতাও এতে কোন কথা না বলে দাম দিয়ে আম নিয়ে চলে গেল । এবার বলি আসল ঘটনা ।
আমার সাথে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে জয়দেবপুর বাজারে । আমি একটা কাজে জয়দেবপুর গিয়েছিলাম । ফেরার পথে দেখলাম আম বিক্রি হচ্ছে । বিক্রেতাকে জিজ্জেস করলাম এটা কি আম ? বিক্রেতা বলল “শসা” । শসা নামে যে কোন আম আছে আমার জানা ছিল না তাই আবার জিজ্জেস করলাম এবারও একই উত্তর পেলাম “শসা” । এবার একটি আম হাতে নিয়ে ভালো করে দেখলাম । এটা আসলে ইন্ডিয়ান “চওসা” আম । যাকে কেউ কেউ চোষা ও বলে থাকেন । ইন্ডিয়া থেকে গাজীপুর পর্যন্ত আসতে আসতে “চওসা” বদলে হয়ে গেছে “শসা” । ভাগ্যিস আমগুলোও বিবর্তনের ধারায় বদলে শসা হয়ে যায়নি ।


ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
 

বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৩

ওস্তাদ, বামে প্লাস্টিক, ডাইনে বিল্ডিং ।

 
প্রাইভেট কার
“ওস্তাদ, বামে প্লাস্টিক, ডাইনে বিল্ডিং” । যারা সিটিং বা লোকাল বাসে চলাচল করেন তাদের অনেকেই হয়তো বাসের হেলপারকে এই জাতীও কথা বলতে শুনে থাকতে পারেন । কিন্তু জানেন কি এর মানে কি?
একবার এক বাস হেলপারকে বলতে শুনলাম “ওস্তাদ, বামে প্লাস্টিক” । মানে জানতে চাইলে সে বলল “প্লাস্টিক” মানে হল “প্রাইভেট” অর্থাৎ “প্রাইভেট কার” । তাকিয়ে দেখতে পেলাম বামদিকে সত্যিই একটি প্রাইভেট কার । তখন জানতে ইচ্ছে হল

প্রাইভেট কারের আরোহী যদি জানত তার কারটাকে এই বাস হেলপার কত অবহেলায় “প্লাস্টিক” বলে সম্বোধন করছে তাহলে তার কি প্রতিক্রিয়া হত । এটা যে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা তাও কিন্তু না । প্রায় সব হেলপারই “প্রাইভেট কার” বোঝাতে “প্লাস্টিক” বলে । কিন্তু কেন ? যথাযথ উত্তর পেলাম না ঐ হেলপারের কাছ থেকে । ব্যাপারটা কি আসলে “আঙ্গুর ফল টক” এর মত হয়ে গেল না ।
BRTC ডাবল ডেকার বাস
একটু পরে ডানপাসে একটি BRTC র দোতলা বাস দেখে হেলপারটি বলে উঠলো “ওস্তাদ, ডাইনে বিল্ডিং”। এক্ষেত্রে মনে হয় খুব বেশী ব্যাখার প্রয়োজন নাই কারন BRTC র দোতলা বাসকে বিল্ডিং বলার কারণটা সহজেই অনুমেয় । তাই সে বিষয়ে আর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলাম না । আশা করি পাঠক নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন ।









ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।


সাধের ল্যাপটপ, সাধ্যের ল্যাপটপ ।

 
ম্যাকবুক এয়ার ১১"

বর্তমান নেটবুকটা ব্যবহার করছি বছর খানেক হল । এটা বাংলাদেশ সরকারের বের করা "দোয়েল" এর একটি মডেল । প্রথম যখন বের হল তখন অনেক শখ করে টঙ্গিস্থ টেলিফোন শিল্প সংস্থা থেকে কিনে এনেছিলাম । চার্জ একটু কম থাকে । তাছাড়া পারফরমেন্সও একেবারে খারাপ না ।  কিন্তু সমস্যা একটাই "দোয়েল" দেখলেই লোকজন ভাবে এটা বোধহয় খুব সস্থা । এক কথায় গরীবের ল্যাপটপ । লোকজন করুণার চোখে তাকায় ফলে এটা নিয়ে বের হওয়া একরকম প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে গেছে । তাই বেশ কিছু দিন যাবৎ নতুন একটা নেটবুক/ল্যাপটপ কেনার ইচ্ছা ক্রমাগত মাথাচারা দিয়ে উঠছে । কিছুদিন আগে অ্যাপলের ম্যাকবুক এয়ার ১১" দেখে একদম ফিদা হয়ে গেছি । কোন নেটবুক মডেলে এখন আর মন ভরে না । আগে নেটবুকগুলো কত সুন্দরই না মনে হত - ছোট্ট স্লিম কুটুকুটু নেটবুক । ম্যাকবুক এয়ার দেখার পর সবগুলা কেমন যেন খাপছাড়া ডিজাইন মনে হয় ।

শুধু সমস্যা একটাই গৌরি সেন অনেক আগেই মারা গেছেন । তার বংশধরের কেউ বেঁচে আছে কিনা তাও জানিনা । আপনারা কেউ কি জানেন ? জানলে দয়া করে একটু জানাবেন । তাহলে এই গরীবের বড়ই উপকার হয় । নয়তো অন্যান্য অনেক কিছুর মত এবারও না পাওয়ার বেদনা বুকে নিয়ে এইস পি, ডেল বা আসুসের কোন মডেল দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হবে।


ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
 

তোমায় ভালোবেসে যাব চিরদিন কিন্তু কোনদিন আমি তোমার হবো না ।

“তোমায় ভালোবেসে যাব চিরদিন কিন্তু কোনদিন আমি তোমার হবো না” । এটা ভালোবাসার এক বিশেষ রুপ । সকল প্রেমিক প্রেমিকার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয় । ভালোবাসা এক অপূর্ব মানবিক অনুভুতি যা মন থেকে মনে ছড়িয়ে যায় কোন যুক্তি তর্কের, কোন উচিৎ অনুচিতের ধার না ধেরে ।
ব্যাখাতীতভাবে সহসাই কোন একজন মানুষ আর দশজনের থেকে আলাদা করে হয়ে উঠে বিশেষ একজন । ভালোবেসে মানুষ তার আরাধ্যকে একান্ত নিজের করে পেতে চায় এটাই ভালোবাসার স্বাভাবিক বা প্রধানতম প্রবনতা । কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্র থাকে যখন ভালোবাসা এই স্বাভাবিক পরিণতি পায়না । যেমন

১. যদি আপনি মন প্রান দিয়ে কাউকে ভালোবাসেন কিন্তু সেই মানুষটি আপনার ভালোবাসার মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয় ।
 

২. আপনার সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষটি যদি হয় খল, ছল বা প্রতারক ।
 

৩. তার কাছে আপনার অনুভূতির যদি কোন মূল্য না থাকে বা সে অন্য কাউকে ভালোবাসে ।
 

৪. আপনি যাকে ভালবাসেন তাকে সুখী করাই যদি হয় আপনার ভালোবাসার সার্থকতা ।
 

৫. যদি আপনার সাথে মিলনে ভালোবাসার মানুষটির সামাজিক বা অন্য কোন ভাবে অবনমন হয় তবে তাকে আপনার ভালোবাসার পিছুটান থেকে মুক্তি দিয়ে সুখী হতে দেখাই হতে পারে সত্যিকার ভালোবাসার সার্থকতা ।
 

৬. আপনি যাকে ভালবাসেন সে যদি অন্য কাউকে ভালোবাসে তাহলে তাকে তার প্রেমাস্পদের হাতে তুলে তাকে সুখী হতে দেয়াই হতে পারে ভালোবাসার সার্থকতা ।
 

৭. সামাজিক বা পারিবারিক বাঁধার কারনে যদি আপনার সত্যিকার ভালোবাসা সফল না হয় ।
 

৮. প্রথম ভালোবাসার মানুষটির সাথে যদি কোন কারনে আপনার বিচ্ছেদ হয়েও যায় তবুও তাকে মনে থাকে সারাজীবন । বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই অপরিণত বয়সের ভালোবাসা সময়ের কাছে হেরে যায় ।
ভালোবাসা এমনই এক যুক্তিহীন অনুভুতি যে যদি আপনি কাউকে সত্যিকার ভাবে ভালোবেসে ফেলেন তাহলে তাকে বাস্তব জীবনে পান আর নাই পান তাকে ভোলা যায় না সহজে । ভালোবাসার মানুষটি শত আঘাত দিলেও আপনি তাকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না । ভালোবাসার অনুভুতি মুছে ফেলতে পারবেন না । আপনার ভালবসার মানুষটি বাস্তব জীবনে আপনার না হয়েও থেকে যাবে আপনার মনের গভীরে । আপনি তাকে আপন করে পাবেন না বা আপন করে নিতে পারবেন না কিন্তু তার ভালোবাসা থেকেও আপনার মুক্তি মিলবে না । বড়ো কষ্টের এই ভালোবাসা, বড়ো কষ্টের এই অনুভুতি, কিন্তু এই কষ্ট বৃথা নয় কারন কষ্টের হাত ধরেই আসে সত্যিকার ভালোবাসা । কষ্টের আলিঙ্গনে জড়িয়ে ভালোবাসা হয়ে যায় খাঁটি সোনা । ভোগ সুখে সুখী তো সবাই হতে চায় কিন্তু ভালোবেসে যে ত্যাগ করতে জানে সেই প্রকৃত প্রেমিক । এটাই হল ভালোবাসা মানে তোমায় না পাওয়া । এটাই কালজয়ী ভালোবাসা । পৃথিবী বিক্ষাত বেশীরভাগ ভালোবাসার কাহিনী গুলো এই ধরনের তাগের কাহিনী । এই সব মানুষের জন্যই এই অভিমানী উচ্চারণ “তোমায় ভালোবেসে যাব চিরদিন কিন্তু কোনদিন আমি তোমার হবো না” ।




ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

আমাদের ফেসবুক লিঙ্ক  তোমায় ভালোবেসে যাব চিরদিন কিন্তু কোনদিন আমি তোমার হবো না ।

প্রথম প্রেম, প্রথম ল্যাপটপ ও কিছু কথা ।

প্রথম ল্যাপটপ আই বি এম ৫১০০
প্রথম প্রেম নাকি সবচেয়ে মধুর হয় । সে প্রেমের স্মৃতি নাকি সারাজীবন মনে থাকে । সেই স্কুল জীবনে যাকে ভালবেসেছিলেন । যার হাত ধরে ভালবাসাবাসি শিখেছিলেন । কিন্তু ভাগ্যের ফেরে যাকে নিজের করে পাননি । তাকে কি আজ মনে পরে ? জানেন কি আজ সে কোথায় আছে ? কেমন আছে ? আপনার মনে সে হয়তো সেই একই রকম আছে কিন্তু বাস্তবতা হল আপনার মতো সেও অনেক বদলে গেছে । আপনি যাকে মনে মনে ভাবছেন সে হয়তো আর আগের সেই মানুষটা নেই । এই বদলে যাওয়া মানুষটাকে হয়তো আপনি চেনেনই না । অথবা আপনি নিজেই এতটা বদলে গেছেন যে সে আর আপনার মনে আগের সেই আবেদন জাগাতে পারছে না ।
মনে করুন আপনার প্রথম প্রেমিকা বিশ্বের প্রথম ল্যাপটপ "আই বি এম ৫১০০" । "আই বি এম ৫১০০" হল সেই ল্যাপটপ যার কাছ থেকে আপনি শিখেছিলেন ল্যাপটপ কি । আপনার ল্যাপটপীয় যাবতীয় স্মৃতির সাথে জড়িয়ে আছে "আই বি এম ৫১০০" । 
ম্যাকবুক এয়ার
আর আপনার বর্তমান প্রেমিকা হল অ্যাপলের "ম্যাকবুক" । নিচের ছবির দিকে তাকিয়ে বুকে হাত দিয়ে সত্যি করে বলুন তো কাকে বেছে নেবেন আপনি?

তবে সুখের বিষয় হল মানুষ ল্যাপটপ বা কম্পিঊটারের মত নয় । মানুষ নিজেকে আপডেট করে নিতে পারে  নিজে থেকেই । মডেল বদলানোর প্রয়োজন হয় না । আর কিছু কিছু পাগলামি আছে যা শুধু মানুষই করতে পারে । যা শুধু মানুষকেই মানায় । শুধু মাত্র মানুষই গাইতে পারে "তুমি সুন্দর যদি নাহি হও । বল কিবা যায় আসে । প্রিয়ার কি রুপ শুধু সেই জানে যে কখনো ভালোবাসে" ।




ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

তাজমহল The Symbol of Love ও কিছু কথা ।



পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের আন্যতম আগ্রার তাজমহলকে বলা হয় SYMBOL OF LOVE কিন্তু আপনি কি নিচের বিষয় গুলো জানেন ?

১. মমতাজ ছিলেন শাহজাহান এর ৭ বউয়ের মাঝে ৪ নাম্বার !
২. শাহজাহান মমতাজকে বিয়ে করার জন্য মমতাজ এর আগের স্বামীকে খুন করে!
 
৩.মমতাজ এর মৃত্যুর পর শাহজাহান বিয়ে করে মমতাজ এর আপন বোনকে....!!

 
৪. মমতাজ মারা গিয়েছিল ১৪ নম্বর বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে !

৫. তাজ মহল বানাতে ২০০০০ লোকের  দেড় যুগেরও বেশী সময় লেগেছিল । এই সুদীর্ঘ ২০-২২ বছর তাদের একটানা কাজ করতে হয়েছে । খাওয়া, ঘুমানো ও প্রাকৃতিক কাজ ছাড়া তাদের আর কোন ছুটি মেলেনি । এর মধ্যে নবিবাহিত যুবক ছিল যাকে বাসর ঘর থেকে তুলে আনা হয়েছিল ২২ বছর পর ফিরে গিয়ে সে আর তার বউকে ফিরে পায়নি । এমন করুন পরিণতি ঘটেছে বেশীর ভাগ নির্মাণ কর্মীর ভাগ্যেই ।

৬. তাজ মহল নির্মাণের শেষে এর মুল কারিগরদের হাত কেটে দেয়া হয় যাতে তারা আর এমন কোন স্থাপত্য নির্মাণ করতে না পারে ।
 
৭. তাজ মহলে অত্যাধিক অর্থ ব্যায়ের ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজাড় হয়ে গিয়ে প্রকট অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল ফলে জনজীবনে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে এসেছিল ।

তাজমহলের সৌন্দর্য অপার যুগ যুগ ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে কিন্তু এর ভিত্তিমূলে লেগে আছে কি নিদারুণ কালিমা ! কি বীভৎস অমানবিকতা ! যে অন্তঃসারশুন্য তথাকথিত ভোগবাদী ভালোবাসার ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে তাজ মহল তা যত সুন্দরই হোক না কেন এটা সম্পদের দাপট আর ক্ষমতার জৌলুস দেখানো বৈ আর কিছু হতে পারে না ।




ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৩

সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।


"সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক"। 

এই শিরোনাম নিয়ে যাত্রা শুরু করল "অকপট" নামের এই নতুন বাংলা ব্লগটি ।  সবাইকে স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি আপনাদের অংশ গ্রহন, মন্তব্য ও পরামর্শ সসময় আমাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দেবে এই প্রত্যাশা রাখছি । আপনাদের মতামত, পরামর্শ ও দিক নির্দেশনাকে সবসময় বিশেষ মুল্যায়ন করা হবে ।

অনেকে বলে একজন বাঙ্গালী একাই একশো হতে পারে কিন্তু একশো জন বাঙ্গালী কখনও এক হতে পারে না । মতামতের ভিন্নতা থাকতেই পারে কিন্তু এখন সময় এসেছে একশো জন বাঙ্গালীর এক হবার । আমরা সবাই তো এই দেশ মাতৃকাকে ভালবাসি । তাহলে অন্তত এই ইস্যুতে এক হতে বাধা কোথায় ।
আমার একার পক্ষে কিছুই সম্ভব নয় যদি আপনাদের সবাইকে আমার পাশে না পাই । একবার এক আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল "আপনার আপনার সবচেয়ে ভাল দিক কি ?"তিনি উত্তরে বলেছিলেন "আমি আমার চেয়ে প্রতিভাবান মানুষদের আমার কাছে আনতে পারি । তাদের থেকে সঠিক পথের সন্ধান পেয়ে যাই ।" তাহলে বুঝুন কথাটা আমাদের জন্য কতোটা বেশি সত্য ।

ইমারসন বলেছিলেন "একদিক দিয়ে দেখতে গেলে সব মানুষই আমার থেকে বর কারন তাদের সবার কাছেই আমার কিছু না কিছু শেখার আছে।" তাই আজ আমাদের এক হতে হবে কারন ব্যাক্তির চেয়ে সমাজ বড়, সমাজের চেয়ে দেশ । তা না হলে জাতি হিসেবে আমরা কোন দিন বড় হতে পারব না ।
আজ আর নয় । আপনাদের মতামতের আশায় রইলাম ।

ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

বিজ্ঞপ্তি
ব্লগার প্লাটফর্মে নির্মিত এই ব্লগটির পরীক্ষমূলক সম্প্রচার ও সংস্কারের কাজ চলছে।
যেকোন তথ্য, লেখা, মতামত বা পরামর্শ দিতে ই মেইল করুন