বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৩

মহামতি অ্যালেক্সান্ডারের শেষ ইচ্ছা ও একটি অমূল্য শিক্ষা ।



মহামতি অ্যালেক্সান্ডার
কিংবদন্তি সম্রাট অ্যালেক্সান্ডার তার মৃত্যুশয্যায় সামরিক বাহীনির সকল জেনারেলদের কে ডেকে তার তিনটি শেষ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে বলেছিলেন তোমরা আমার এই ইচ্ছা গুলোর কথা লিখে রাখবে আর আমার মৃত্যুর পর তা যথাযথ ভাবে পালন করবে

তার শেষ তিনটি ইচ্ছা ছিলঃ

১. রাজ্যের সেরা চিকিৎসকেরা আমার কফিন বহন করবে

২. আমার সকল ধন-সম্পদ (নগদ অর্থ, সোনা-রূপা, রত্নালঙ্কার) আমার কফিনের সাথে কবরস্থানে নিয়ে যাবেআমাকে কবরস্ত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যু শোভাযাত্রায় অংশ-কারীদেরকে খোলা ময়দানে এসব সম্পদরাজি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, খুলে-মেলে দেখাবে!

৩. আমার হাত দুটি উন্মুক্ত অবস্থায় কফিনের বাহিরে বের করে রাখবে, যাতে সকলেই  
আমার দুটি শূন্য হাত দেখতে পায়!
 
অ্যালেক্সান্ডারের অতীত চিন্তা, কর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে বিপরীত ধরণের ইচ্ছার কথা শুনে একজন জেনারেল অতি কৌতূহলে প্রশ্ন করলেন, এই আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি কি আমাদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন?
মহামতি অ্যালেক্সান্ডার তার উত্তরে বললেন,

১. সেরা চিকিৎসকেরা লাশের কফিন বহন করার অর্থ হল, “মানুষ বুঝতে পারুক মৃত্যুই মানুষের অমোঘ নিয়তি । দুনিয়ার কোন শক্তি, কোন চিকিৎসা ব্যবস্থাই মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে পারে না” ।

২. অর্জিত সম্পদ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, খুলে-মেলে দেখানোর অর্থ হল, “সবাই দেখুক, আমি পুরো দুনিয়া জুড়ে অভিযান চালিয়ে যে বিপুল সম্পদ আরোহণ করেছিলাম মৃত্যুকালে সে সম্পদের কিছুই আমার সাথে যায়নি, সমুদয় সম্পদরাজি পৃথিবীতেই থেকে গেছে”!

৩. কফিনের বাইরে দুটি শূন্য হাত প্রদর্শনের অর্থ হল মানুষ দেখুক, “শূন্য হাতে এই পৃথিবীতে আমার আগমন হয়েছিল এবং শূন্য হাতেই বিদায় নিচ্ছি, বিপুল সম্পদরাজি আমার করতলগত ছিল কিন্তু এইসব আপাত মূল্যবান উপকরণের কোনটাই সম্পদ নয়দুনিয়ার প্রকৃত সম্পদ হল সময়’! কারন সময় সীমিত! চেষ্টার মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানো যায় কিন্তু কোন ভাবেই সময় বাড়ানো যায় না ! কারো জন্য যদি কিছুটা সময় ব্যয় করা হয়, তাহলে জীবনের একটি অংশকে তার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়, যেটা আর কোনদিন ফিরে পাওয়া যায় না ! সময় হল সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং এটাই আমাদের জীবন

ধন্যবাদান্তে, 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।

তথ্য সুত্রঃ ইন্টারনেট ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন