বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৩

ঈদ মোবারক

শেষ হয়েছে মাহে রমজান, রাত পোহালেই ঈদ। শত কষ্ট সহ্য করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে বিগত কয়েক দিন থেকে শুরু করে আজও রাজপথে ঘরমুখো মানুষ। বাস, লঞ্চ, ট্রেন কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। টার্মিনালগুলোও লোকে লোকারণ্য। গলদঘর্ম সবাই একজন আরেকজনকে ঠেলে কাঙ্ক্ষিত পরিবহনের দিকে ছুটছে। টিকিট মিলছে না সহজে । ভাড়া বেশী । জন ও যানজটের কারনে দিকগ্বিদিক এ ছোটাছুটিতে পদে পদে নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা থাকলেও এতে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সব দুর্ভোগ ভুলে এখন সবারই লক্ষ্য শেকড়ের টানে ঘরে ফেরা। এবার আর আমি এই মানুষের মিছিলে যোগ হবো না । ইচ্ছা থাকলেও অনিবার্য কারন বশত এবার আর আমার ঘরে ফেরা হচ্ছে না । এই মুহূর্তে সবাইকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা । শুভ ও নিরাপদ হোক আপনার যাত্রা । প্রিয়জনদের সান্নিদ্ধে ভালো কাটুক আপনার ঈদ ।

ঈদ মোবারক¸.•♥•¸.•♥•..¸Eid Mubarak¸.•♥•.¸.•♥•.¸¸Fiesta del Cordero

Offerfeest¸.•♥•.¸¸.•♥•.Sărbătoarea Sacrificiului.•♥•.Baqra aur Baqrī Īd

Babbar Sallah¸.•♥•¸.•♥•..Ciida Gawraca ¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸Peru Nāl

Baed Eid ¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸.•♥•.¸Baṛā Īd ¸.•♥•.¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸ Bali Perunnal

Zǎishēng Jié¸.•♥•.¸.•♥•.¸Tabaski or Tobaski¸¸.•♥•.¸. ¸.•♥•.¸ عيد مبارك

Īd ul-Kabīr¸¸.•♥•.¸.•¸.•♥•.¸.¸Īd al-’Aḍḥá¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸ Курбан-байрам

Eyde Ghorbân¸.•♥•Festival of Sacrifice¸.¸.•♥•.¸.•♥•.¸ ¸Kurbaneyy Akhtar

Cejna Qurbanê¸.•♥•.¸ Eid Մուբարաքը¸.•♥•.¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸ Ід Мубарак

Ейд Мубарак¸.•♥•.¸¸.•♥•. EID Μουμπάρακ ¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸ מובארק עיד

ईद मुबारक ¸.•♥•.¸¸.•♥•. Ейд Мубарак ¸.•♥•.¸.•♥•.¸ ¸.•♥•.¸ Ид Мубарак

Eid მუბარაქის ¸.•♥•.¸¸.•♥•. ઈદ મુબારક ¸.•♥•.¸¸.•♥•. Lebaran Mubarak

ಈದ್ ಮುಬಾರಕ್ ¸.•♥•¸.•♥•..•♥• Еид Мубарак ¸.•♥•.¸¸.•♥•. eid मुबारकला

عید مبارک¸.•♥.•♥•. Ид Мубарак .•♥•.¸¸.•♥•.ஈத் முபாரக் .•♥•.¸¸.•♥•.

ייד מובאַראַק.•♥•.¸¸.•♥•.ఈద్ ముబారక్.•♥•♥•.Ід Мубарак .•♥•.¸ عید مبارک

To All My Nearest & Dearest One of this universe & beyond …..


হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক । 

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা ।

সময়ের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনধারা। কিছুদিন আগে আমরা যা কল্পনাও করতে পারতাম না তা এখন আমরা বাস্তবে অহরহ করে চলেছি। সবকিছুই হয়েছে বিজ্ঞানের বদৌলতে। এমনই একটি বিষয় হচ্ছে অনলাইন শপিং। এটি এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে ঘরে বসে যে কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। উন্নত বিশ্বে এ বিষয়টি আরও আগে চালু হলেও বাংলাদেশে সম্প্রতি এই খাতটি পথচলা শুরু করেছে। যদিও এখন অবধি অসংখ্য পণ্যের সমাহার গড়ে উঠেনি। তারপরও আশা করা যায় খুব শীঘ্রই খুব বড় পরিসরে এই খাতটি পথচলা শুরু করবে।






বাংলাদেশে চালু কয়েকটি অনলাইন শপিং সাইট এর তালিকা:
যেসকল পণ্য পাওয়া যায়:
এসব ওয়েব সাইটে পুরুষ ও মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। পুরুষদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে – শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবী। মহিলাদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে – শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, জিনস, লেগিংস, ফতুয়া। রয়েছে বাচ্চাদের পোশাকও। এসব পোশাক বিভিন্ন সাইজ ও বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। এছাড়া ফ্যাশন অনুসঙ্গ বেল্ট, ওয়ালেট, ব্রেসলেট সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য-সামগ্রী পাওয়া যায়। পোশাকের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীও এসব সাইটে পাওয়া যায়। যেমন – ইলেকট্রনিক্স, এডুকেশন, ফুড, হেলথ, স্পোর্টস, ডেকোরেশন, ট্রাভেল পণ্য সামগ্রী।     

রয়েছে ক্যাশ অন ডেলিভারীর সুযোগ:
অনলাইনে অর্ডার করলে পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে বাসায়। পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। আর তাই ক্রেডিট কার্ড থাকার বাধ্যবাধকতাও নেই।
হোম ডেলিভারী:
এসব ওয়েব সাইট থেকে ক্রয়কৃত পণ্য ফ্রি হোম ডেলিভারী সার্ভিস প্রদান করা হয়। তবে ঢাকার বাইরে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডেলিভারী চার্জ পরিশোধ করতে হয়।
যেভাবে কেনা যাবে
এসব ওয়েব সাইট থেকে পণ্য কেনার প্রক্রিয়া প্রায় সবার একই রকম। এজন্য প্রথমে সাইটটিতে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর যে পণ্যটি ক্রয় করতে চাই সেই পণ্যের পেজটি ওপেন করে সেখানে “Buy Now” বা “Add to Cart” এ ধরনের কিছু কথা লেখা থাকে। সেখানে ক্লিক করে স্টেপ বাই স্টেপ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই ২৪ ঘন্টা বা তারও কম সময়ে পণ্যটি আপনার বাসায় পৌছে যাবে।
ক্রেডিট কার্ড সুবিধা:
ক্যাশ অন ডেলিভারীর পাশাপাশি ভিসা, মাস্টার, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিবিবিএল, ব্র‌্যাক ব্যাংক এর কার্ডের মাধ্যমে এবং বি-ক্যাশের মাধ্যমেও মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে।


হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট । 

ঈদ শপিং টিপস ।



ঈদের শপিং বলে কথা! ছোটখাট ঝামেলা থেকেই যায়আমরা প্রায়ই বুঝতে পারি না কিভাবে কি করবো ? কাকে কী দেব? শেষমেস দেখা যায় পরিকল্পনার অভাবে পুরো বিষয়টাই খাপছাড়া হয়ে যায় । দেখা যায় ইচ্ছে ছিল একরকম কিন্তু হয়ে গেছে অন্য কিছু। তাই এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে ঈদের কেনাকাটা সহজ করতে কিছু টিপস্


মার্কেটে যাওয়ার আগের প্রস্তুতিঃ
  • শপিংএ যাবার আগে প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা করে ফেলুনএতে কম সময়েই আনেক প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা সম্ভব হবে
  • এরপর ভেবে দেখুন কোনদিন শপিং করতে যাওয়া আপনার জন্য সুবিধা হবেসে রকম একটা দিন নির্বাচন করুন
  •  ঠিক করে নিন কাকে কেমন দামের মধ্যে পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস কিনে দেবেনএতে করে অযথা ঘোরাঘুরির পেছনে সময় নষ্ট হবে না
  • শপিংএ যাওয়ার প্রস্তুতি নিনবাইরে ভ্যাপসা গরম, এ সময় স্বাভাবিক সুতি পোশাক পরুন
  • যে কোনো সময় বৃষ্টি হতে পারে ব্যাগে ছাতা রাখুন
  • যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলে না যান তবে বাচ্চাদের না নেওয়াই ভালো
  • শিশুদের পোশাক কেনার দিন তাদের সাথে নিন এবং তাদের পছন্দ মতো পোশাক কিনুন
  • পোশাক কেনার সময় যার জন্য কিনছেন তার বয়স, পেশা, রুচি এবং প্রয়োজনের বিষযটি বিবেচনায় রাখুন
  • সব কেনাকাটা একদিনে না করে, কয়েক বারে করুনএতে যা কিনছেন সেগুলোর মান ভালো থাকবে ।
  • ঠিক করে নিন কাকে কেমন দামের মধ্যে পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস কিনে দেবেনএতে করে অযথা ঘোরাঘুরির পেছনে সময় নষ্ট হবে না
  • সব টাকা সঙ্গে না নিয়ে চেষ্টা করবেন এটিএম কার্ড থাকলে সঙ্গে নেওয়ার কারণ মার্কেট করতে গিয়ে টাকা শেষ হয়ে গেলে কাছের কোনো বুথ থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেনতা না হলে আপনার সঙ্গে যে থাকবে তার কাছেও কিছু টাকা রাখতে পারেন
  • ভারী কোনো গহনা পরে শপিংয়ের উদ্দেশ্যে বের হবেন নাশপিংয়ের সময় সবসময় আরামদায়ক পোশাক ও স্যান্ডেল ব্যবহার করুনহাই হিল পরে শপিংয়ে যাবেন না শপিংয়ে যাওয়ার সময় অযথা সাজগোজ করবেন নাশপিংয়ে গেলে এমনিতে ভিড়ের মধ্যে গরম লাগবেএতে আপনার সাজই অর্থহীন হবে
    যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলে না যান তবে বাচ্চাদের না নেওয়াই ভালো
  • রোজার সময় দিনের বেলায় শপিং করতে গেলে অবশ্যই ইফতারের সময় সম্পর্কে সচেতন থাকবেন
  • শপিংয়ের সময় বড় ব্যাগ নিয়ে গেলে বেশ সুবিধা পেতে পারেনকারণ প্রচুর কেনাকাটা করলে অনেক ব্যাগ তা একটার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখলে বহনে সুবিধা হবে যদি সঙ্গে অনেক মানুষ থাকে তবে যে কোনো একজনকে দিয়ে সেগুলো বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারেন
  • যাকাত যদি নগদ অর্থের পরিবর্তে পোশাকের মাধ্যমে দিতে চান তবে ওগুলোও আগেই কিনে রাখুন ।


কেনার সময় বিশেষ সতর্কতাঃ
  • প্রথমে ঠিক করবেন কোন জিনিসটা আগে কিনবেনযেটি টার্গেট করবেন সেটি কেনা হয়ে গেলে অন্যটি কিনবেনযদি একসঙ্গে অনেক ধরনের জিনিস কিনতে যান, তাহলে শপিংয়ে অনেক সময় নষ্ট করবেন
  • কেনার সময়ে পোশাকের রঙ, সেলাই, মান এবং দাম ভালো করে দেখে নিনকোনো সমস্যা থাকলে বদলে নিন
  • খুব জলদি কোনো জিনিস কিনে ফেলবেন নাকেনার আগে অবশ্যই ভালো করে দেখে নেবেন জিনিসের কোনো সমস্যা আছে কি-নাসবার পছন্দ হবে কি-না
  • আপনি কী ধরনের জিনিস চান তা দোকানদারকে বলবেনঅযথা দোকানে নিজে খুঁজে সময় নষ্ট করবেন নাতাদের বললে তারা বের করে দেবেন
  • কোথায় কত টাকা দিয়ে জিনিস কিনছেন তা লিখে রাখুনএতে টাকার পরিমাণটা ঠিক থাকবেহিসাবেরও গরমিল হবে না
  • কেনাকাটা শেষে বিল দেবার পর, বিলের তালিকার সাথে জিনিসের সংখ্যা মিলিয়ে নিনএতে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে না
  • বিল রিসিট ফেলে না দিয়ে কিছুদিন রেখে দিনহঠাৎ কোনো জিনিস বদলানোর সময় কাজে লাগবে
  • বড় শপিংমলগুলো ঈদের কেনাকাটায় পুরস্কার ঘোষণা করেকুপন সংরক্ষণ করুনএকটি শাড়ী কিনে হয়তো গাড়ি জিতে যাবেন!

 

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট । 

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা



বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যে এক দুরলঙ্ঘনীয় বাধার নাম রবীন্দ্রনাথ । জীবন ও সাহিত্যের সামগ্রিকতাকে তিনি সুনিপুনভাবে তার লেখার শরীরে ধারণ করছেন । এমন কোন মানবীয় অনুভূতি নেই যা তার লেখায় উঠে আসেনি । এই বহুমাত্রিকতার  পাশাপাশি জীবনবোধের গভীরতা ও ভাষার পরিপূর্ণতায় তার লেখা হয়ে উঠেছে কালজয়ী । বাংলা সাহিত্য অঙ্গনকে উনি যেন পৈতৃক জমিদারী বানিয়ে ফেলেছেন, বাংলা সাহিত্যকে উনি এতোটাই সমৃদ্ধ করে গেছেন যে যাই লিখতে যাই দেখা যায় উনি সেটা আগেই লিখে রেখে গেছেন। তাই কবি দীনেশ দাস বলেছিলেন, তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতা উনার মহা প্রয়াণের ভেতর দিয়ে ১৯৪১ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২২ শে শ্রাবণ বাংলা সাহিত্যাকাশে যে শূন্যতা, যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তা অন্যান্য ক্ষতের মত শুকিয়ে যায়নি, সময়ের বিবর্তনে তা কেবল বৃদ্ধিই পেয়েছে । তার বিকল্প বা কাছাকাছি মানের এমন সামগ্রিক কাউকেও আমরা আজও পাইনি । কোন দিন পাবো কিনা তাও জানিনা । রবীন্দ্র বিদ্বেষী ও মৌলবাদীরা যে দুটো দিকে রবীন্দ্র নাথের দিকে তাদের সঙ্কীর্ণতার তীর ছুড়ে দেয় তার প্রথমটি হল ধর্মান্ধতা, তাকে হিন্দু কবি বা তার রচনাকে হিন্দুয়ানী বলে হেয় করার অপচেষ্টা । কিন্তু তার লেখা দিয়ে উনি স্থান, কাল, পাত্র, জাত, পাত ইত্যাদির অনেক উপরে উঠে গেছেন ।
দ্বিতীয়টি হল রবীন্দ্র নাথ ছিলেন ধনীর দুলাল । উনাকে জীবন যুদ্ধের কষ্ট, অন্ন বস্ত্রের কষ্ট সহ্য করতে হয়নি । দীর্ঘ জীবনে উনি নিরবিচ্ছিন্ন সাহিত্য চর্চা করতে পেরেছেন যা বেশিরভাগ সাহিত্যিকের ক্ষেত্রে দেখা যায় না । বেশীর ভাগ ঝঞ্জাক্ষুব্ধ লেখকদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা জীবন যুদ্ধ্যে বা সম্পর্কের ভাঙ্গনে যে আঘাত পেয়েছেন তাই তাদের লেখার উপজীব্য হয়ে উঠেছে । কিন্তু রবীন্দ্র নাথ এমন কোন একমাত্রিক লেখক নন । উনি সমস্ত মানবীয় অনুভূতিকে এক জীবনে এমন ভাবে স্পর্শ  ও লালন করেছেন যে উনি একের ভেতর হয়ে উঠছেন বহু, সীমার ভেতর থেকে হয়ে উঠেছেন অসীম । এই খানেই মূলত অন্য লেখকদের সাথে রবীন্দ্রনাথের মুল পার্থক্যটা তৈরি হয়ে যায় । রবীন্দ্রনাথের নাম শুনলে তাইতো রবীন্দ্র মুগ্ধ বিস্ময়ে এই কবির সাথে গলা মিলিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়,

আঁকতে আমার ভীষণ ভয়, আঁকতে থাকি তলস্তয়।
আঁকতে আঁকতে থামিয়ে হাত, তাকিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ।
আঁকতে আমার ভীষণ ডর, আঁকতে থাকি শেক্সপীয়র ।
আঁকতে আঁকতে অনেক রাত, তাকিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ।
আঁকতে আমার ভীষণ লাজ, তবুও যখন আকাই কাজ।
আঁকতে আঁকতে কিস্তিমাত, তাকিয়ে দেখি রবীন্দ্রনাথ। 


হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৩

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা মহিমান্বিত রজনীর ফযিলত, তাৎপর্য ও করনীয় ।


দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে শুরু করছি । আল্লাহ রাব্বুল লামীন লাইলাতুল কদরের রাতটিকে এক বিশেষ শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন আল-কুরআনে এ রাতের গুরুত্ব ও প্রশংসা সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা রয়েছে
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
নিশ্চয়ই আমি এটিকে (আল-কুরআন) কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি
তুমি কি জানো কদরের রাতটি কি?
কদরের রাত হলও হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ
ফেরেশতারা ও রূহ (হজরত জিবরাঈল আ:) এই রাতে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতীর্ণ হয়;
সেই রাতটি পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার - ভোর হওয়া পর্যন্ত

সূরা আল-কদর
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম এই মহিমান্বিত রাতকে উপলক্ষ করে বিশেষভাবে ইবাদাত-বন্দেগীর উদ্দেশ্যে ব্যাপক আয়োজন ও প্রস্তুতি নিয়েছেনকরুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ-অসীম রহমত ও বরকতে পরিপূর্ণ এ রাতের সন্ধানে তাঁরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাহে রমাদানের শেষ দশদিনে বলতে গেলে দুনিয়াবী সব কাজকর্ম থেকে বিরতি নিয়ে বিভিন্ন ইবাদাতে মশগুল থাকতেন

হযরত আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিতনবী করীম সা: বলেছেন: যে কেউ ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমাদানে সিয়াম পালন করলো, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবেআর যে কেউ ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় কদরের রাতে (ইবাদাতে) দাঁড়ালো, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে
সহীহ আল-বুখারী

হযরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন: তোমরা লাইলাতুল কদরকে রমাদানের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতে তালাশ করো
সহীহ আল-বুখারী

হযরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেছেন, যখন (রমাদানের) শেষ দশদিন এসে যেতো, তখন নবী করীম সা: তাঁর পরনের কাপড় শক্ত করে বেঁধে নিতেন (অর্থাৎ দৃঢ়তার সাথে প্রস্তুতি নিতেন), রাত জাগতেন এবং পরিবারের লোকদেরকেও জাগিয়ে দিতেন
সহীহ আল-বুখারী

হযরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিতনবী করীম সা: রমাদানের শেষ দশ দিনে ইতেকাফে (seclusion in a mosque for worship) বসতেন যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁকে উঠিয়ে নিলেনতারপর তাঁর স্ত্রীরাও (শেষ দশকে) ইতেকাফ করতেন
সহীহ আল-বুখারী

হযরত আবু হুরাইরা রা: থেকে বর্ণিততিনি বলেন: নবী করীম সা: প্রতি রমাদানে দশদিন ইতেকাফ করতেনকিন্তু যে বছর তাঁর ইন্তেকাল হলো, সে বছর তিনি বিশ দিন ইতেকাফ করেছিলেন
সহীহ আল-বুখারী

লাইলাতুল কদরের সন্ধানে রমাদানের শেষ দশ দিনে আমরা যা করতে পারি:
১. রমাদানের শেষ দশ দিনে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পার্থিব কাজকর্ম থেকে অবকাশ/ছুটি নেয়া (take a vacation for Allah)দশ দিন সম্ভব না হলে যতদিন পারা যায়

২. ইবাদাতের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও তা বাস্তবে রূপ দেয়া

৩. পরিবারের সবাইকে নিয়ে এর গুরুত্ব আলোচনা করা ও তাদেরকেও এই বিশেষ ইবাদাতের অনুভূতি ও কার্যক্রমে সম্পৃক্ত (share) করা

৪. যে কদিন বা সময়ের জন্যই সম্ভব হয় পুরুষদের নিজ এলাকার মসজিদে এবং মহিলাদের নিজেদের ঘরে ইতেকাফ করার চেষ্টা করা
নবী করীম সা: বলেছেন: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এক দিনের ইতেকাফের জন্য আল্লাহ তালা ইতেকাফকারী এবং জাহান্নামের আগুনের মাঝখানে এমন তিনটি খাদকে (trenches) সম্প্রসারিত করেন যাদের প্রত্যেকটির বিস্তৃতি আসমান ও যমীনের দূরত্বের চেয়েও প্রশস্ত
মুসনাদে আহমাদ

৫. বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করাবিশেষ করে সালাতে আমরা যেসব সূরা বা আয়াত পড়ে থাকি সেগুলোর অর্থসহ মর্মার্থ জানার চেষ্টা করাএটি সালাতে মনোযোগী হতে সাহায্য করে

৬. বেশী করে সালাত আদায় করামসজিদে জামাআতে নিয়মিত ফরয ও তারাবীহ আদায়ের পাশাপাশি বেশী করে নফল সালাত আদায় করা এক্ষেত্রে তাহাজ্জুদ ও সালাতুত তাসবিহ আদায়ের জোর চেষ্টা করা

৭. যিকির, তওবা ও ইসতেগ্‌ফার করাএলক্ষ্যে সঠিক পদ্ধতিতে আল্লাহকে বেশী করে স্মরণ করা, নবী করীম সা:এর প্রতি দরুদ পাঠ এবং আমাদের অপরাধগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করা

৮. বেশী করে দুআ (Asking from Allah) করানিজের এবং উম্মাহর যত অভাব, যত সংকট রয়েছে সব কিছুর জন্য এবং আখিরাতে মুক্তির জন্য বিশেষ করে কুরআনে বর্ণিত দুআ গুলো করার চেষ্টা করারমাদান দুআ কবুলের সময়
হযরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা:কে জিজ্ঞেস করলাম: হে আল্লাহর রাসূল সা:! আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তাহলে আমি কি দুআ করবো? রাসূল সা: জবাব দিলেন: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুঊন তুহিব্বুল আফ্‌ওয়া ফাআফু আন্না’ (হে আল্লাহ! তুমিই অপরাধ ক্ষমা করো, আর ক্ষমা করাকে তুমি খুবই পছন্দ করো, কাজেই তুমি আমাকে মাফ করে দাও)
মুসনাদে আহমাদ, সুনানে ইবনে মাজাহ, আল-জামে আত-তিরমিযী

৯. আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়ার জন্য নিজের প্রয়োজনীয় সাহায্যে চাওয়ার তালিকা তৈরি করাআত্ম-সমালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিজেকে জিজ্ঞেস করা - সত্যিই আমি আল্লাহর কাছে কি চাইতা ছোট-বড় যাই হোক, দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোনো ব্যাপারেই সংশ্লিষ্ট হোকমহান আল্লাহ তালা আমাদের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে চাওয়াকে খুবই পছন্দ করেনতালিকা তৈরি হয়ে গেলে সেগুলো সালাত আদায়ের সময় সিজদাহরত অবস্থায় বিনয় ও কাকুতি-মিনতির সাথে তাঁর কাছে বারবার চাওয়া

১০. দুআ কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় হলো শেষ রাত
হযরত আবু হুরাইরা রা: বর্ণন করেনরাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন: যখন রাতের তিন ভাগের একভাগ বাকী থাকে তখন আমাদের আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতালা আসমান (তাঁর আরশ) থেকে পৃথিবীর প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন: কে আমার কাছে প্রার্থনা করে - আমি তার প্রার্থনা কবুল করবোকে আমার কাছে সাহায্য চায় - আমি তাকে সাহায্য করবো, কে আমার কাছে ক্ষমা চায় - আমি তাকে মাফ করে দিবো
সহীহ আল-বুখারী ও সহীহ মুসলিম

১১. রাতে একটানা একইভাবে ইবাদাত না করে বিরতি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ইবাদাতে সময় কাটানো যেতে পারেএতে ইবাদাতে বেশী করে মনোযোগ ও তৃপ্তি লাভ করা যায়
দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে এই রমাদানে আমাদের সবার জীবনের সব গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন, নিষ্পাপের মতো যেন আমরা ঈদের সালাতে সবাই এ অবস্থায় হাজির দিতে পারি যে, ‘তিনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট, আর আমরাও তার প্রতিআমীন!



হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট । 


আল হাদিসের বর্ণনা অনুসারে লাইলাতুল কদর বা সন্মানিত রজনীর আলামত ।

আজ ২৭ রমজান, লাইলাতুল কদরের বা সন্মানিত রজনী হিসাবে অন্যতম স্বীকৃত রাত ।

এই রাতের কিছু আলামত হাদীসে বর্ণিত আছে। সেগুলো হল ।

১. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

২. নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

৩. মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

৪. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

৫. কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

৬. ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

৭. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।

[বুখারী, মুসলিম, ইবনু খুযাইমাহ]



হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট । 

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৩

বন্ধু দিবস কিভাবে এলো ?

এই বছর ৩ রা আগস্ট আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববারে সারা বিশ্বজুড়ে বন্ধু দিবস পালন করা হয় । কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না বন্ধু দিবস কিভাবে এলো।

১৯৩৫ সাল থেকেই বন্ধু দিবস পালনের প্রথা চলে আসছে আমেরিকাতে। জানা যায় ১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। এরপরই জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুদের অবদান আর তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষেই আমেরিকান কংগ্রেসে ১৯৩৫ সালে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন।

আর বর্তমানে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বের বহু দেশেই। যাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী বন্ধু আর বন্ধুতা, তারা একমুহূর্তেও জন্যও মন থেকে আড়াল করতে পারেন না বন্ধুদের। জীবনের সংকটে এরা ছুটে যান বন্ধুদের কাছে। আবার আনন্দ, উল্লাস কিংবা দিন শেষের অবসরেও এরা ভালোবাসেন বন্ধুত্বের কলতান শুনতে। বন্ধুত্বের পরিপূরক সম্পর্কের মাঝে এরা খুঁজে পান জীবনযাপনের ভিন্ন রস।

বন্ধু দিবসে বিশ্বের সকল বন্ধুদের জানাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ
প্রথম আলো ব্লগ । 

রাগ নিয়ন্ত্রণ - একটি শিক্ষামূলক গল্প ।


খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো সে খুব সামান্য কারণেই রেগে যেত । তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলোপরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো
সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না সে তার বাবাকে এই কথা জানালো তারা বাবা তাকে বললো, এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন
করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো,
'
তুমি খুব ভালভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো, এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলো এখনো রয়ে গিয়েছেকাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে তুমি যেন একটি পেরেক ঠুকলে পরবর্তিতে যদি তুমি তোমার কথা ফিরিয়েও নাও তখনও তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় থেকে যায়
তাই নিজের রাগতে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর


হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।