সব মহলেই অভিনেতা, ক্রিকেটারদের মতো তারকাদের বিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে বরাবরই ভীষণ
আগ্রহ থাকে। কিন্তু তামিম ইকবালের বিয়ে নিয়ে তুমুল হইচই যেন আগের সব
রেকর্ডই ছাপিয়ে গেছে। আর তার একটা বড় কারণ, এমন বিপুল আড়ম্বর আর জাঁকজমকের বিয়ে বাংলাদেশে প্রায় হাতে গোণা। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল বহুল
প্রতীক্ষিত তামিম- আয়েশার বিয়ে। চট্টগ্রাম ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ড
কমপ্লেক্স। শনিবার। ঘড়ির কাঁটা
তখন রাত ৮টার ঘরে। একে
একে আসতে থাকলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।অতিথিদের আগমনে মুখর পুরো টেনিস
কমপ্লেক্স।
রাত
৮টা ৩৮মিনিটে বিয়ের আসরে হাজির হন আয়েশা সিদ্দিকী। তামিমের এ
নববধুর পরনে ছিল হালকা গোলাপী রঙের লেহেঙ্গা। আয়েশা আগ্রাবাদের
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন ও মমতাজ বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা। প্রতীক্ষারত
নববধুকে সঙ্গ দিতে রাত ১০টা ২০মিনিটের দিকে আসরে হাজির হন তামিম ইকবাল। সোনালী রঙের
পাগড়ী আর কালো
শেরওয়ানী পরেছিলেন তামিম। তামিমের সঙ্গে বন্ধু-বান্ধবরা ছাড়াও ৫০
জনের ব্যান্ড
দল ছিল। বিয়ের
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। ঢাকা থেকেও
যান অনেকে।তামিম ইকবালের মা নুসরাত ইকবাল বলেন, ‘মা হিসেবে আমি খুবই খুশী। তামিমের বিয়েতে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব সবার মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। আমি এ নবদম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী। তারা সুখী হলে আমি সুখী।'
বিয়ের পর কাজীর দেউরির বিখ্যাত খান পরিবারের বসতি গড়তে যাচ্ছেন এ নবদম্পতি। তবে এখনো হানিমুনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলে জানালেন মা নুসরাত ইকবাল।
সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় দলের ক্রিকেট
ক্যাম্প ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তামিম। এ ব্যস্ততা শেষ
হলে হানিমুনের পরিকল্পনা করা হবে।'
গত কয়েকদিন ধরে নগরবাসীর দৃষ্টি হাই-প্রোফাইল
এ বিয়ের দিকে। দু'পরিবারের
পক্ষ থেকে তাই চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনদের জানানো হয়েছিল আমন্ত্রণ। অতিথির
সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন চট্টগ্রাম
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার
সোমনাথ ঘোষ, সাবেক ক্রিকেটার ও জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট, হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খানএবং তামিমের চট্টগ্রাম সতীর্থ ক্রিকেটারা।
পাইলট তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আশা করি বিয়ের পর তামিম আরো বেশি করে চার-ছক্কা মারবে! ওদের বিবাহিত-জীবনের সাফল্য কামনা করছি।” হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, “তামিম আকরাম ভাইয়ের ভাতিজা। তবে তার চেয়েও বড় কথা সে দেশের গর্ব, সবার প্রিয় তারকা। তার খেলা আমার খুব ভালো লাগে। বিয়ের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ।”
ধন্যবাদান্তে,
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন