সাভারের
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ
থেকে উদ্ধার করা আলোচিত গার্মেন্ট কর্মী রেশমার কাহিনীটি একটি ‘ভাঁওতাবাজি’ ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের
বহুল প্রচারিত ট্যাবলয়েড
দৈনিক ‘মিরর’। রানা প্লাজার
ধ্বংসস্তূপে প্রায় ১২শ’ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরপর মতিঝিলে
হেফাজতে ইসলামের ওপর চালানো হয়েছিল গণহত্যা। তারও আগে ছিল জামায়াত নেতা মাওলানা
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় পরবর্তী দমন-নির্যাতন ও নির্বিচার
হত্যার অভিযান। এজন্যই
বলা হয়েছে, রেশমাকেন্দ্রিক
নাটকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিশেষ করে গণহত্যাকে আড়াল করা। গণহত্যাসহ
রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে
আড়াল করার কৌশল হিসেবেই রেশমাকে হঠাত্ ‘উদ্ধার’ ও হাজির করা হয়েছিল। দৈনিকটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা
হয়, ‘রানা প্লাজা
ধসের প্রথম দিনই রেশমা বের হয়ে এসেছিলেন।’
যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর ১০ মে রেশমাকে উদ্ধার করা হয়। তখন এটাকে অলৌকিক ঘটনা বলেও প্রচার করা হয়।
ঢাকা থেকে সাইমন রাইটের পাঠানো এবং ‘বাংলাদেশ ক্লথস ফ্যাক্টরি ডিজাস্টার ইজ ব্র্যান্ডেড এ হোক্স বাই কলিগ অব উইম্যান রেসকিউড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমার সহকর্মী জানান, ভবন ধসের প্রথম দিনই বের হয়ে আসেন তিনি। অনুসন্ধানে মিরর জানতে পারে রেশমার ওই সহকর্মীও প্রথম দিনই তার (রেশমার) সঙ্গে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।তবে রেশমার ওই সহকর্মীর নাম প্রকাশ না করে মিরর জানায় যে, তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমাকে উদ্ধারের কথা যেদিন প্রচার করা হয় সেদিন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ উল্লাস করেছিল।
গত ২৪ এপ্রিল সকালে অবৈধভাবে নির্মিত রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১,১২৯ জন লোক মারা যায়। রেশমার সহকর্মী ওই ভবনের তৃতীয় তলায় কাজ করতেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একত্রেই বের হয়ে আসি। আমরা উভয়ই ধ্বংসস্তূপ থেকে হেঁটে বের হই।’তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে দু’দিন ছিলাম। তারপর আর তার হদিস পাইনি। এর ১৭ দিন পর আমি তাকে টিভিতে দেখতে পাই। তারা বলেছিল এটা ছিল অলৌকিক। কিন্তু এটা ছিল বানোয়াট।’
এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য প্রায় সাড়ে ১০ লাখ প্রচার সংখ্যার মিরর পত্রিকার প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেন। সেখানে সরকার বিরোধী কর্মীরা বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর অপপ্রচার থেকে বাঁচতে এটা ছিল সরকারের একটি সাজানো নাটক।প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার প্রমাণ হিসেবে মিরর প্রতিনিধিকে রেকর্ড শোনানো হয়। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় তার নাম প্রকাশ করা হলো না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমাকে নিয়ে ভাঁওতাবাজির খবর প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশের সরকার বিরোধী দৈনিক ‘আমার দেশ’। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা রেশমার বাড়িওয়ালাকে জানান যে, উদ্ধার হওয়ার পর রেশমাকে এনাম মেডিকেলে চিকিত্সাও দেয়া হয়। রানা প্লাজার আশপাশের বাসিন্দারা জানান, রেশমাকে উদ্ধারের আগে তাদের রহস্যজনকভাবে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তাকে উদ্ধার করার পর আবার কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বাড়িতে ফিরতে দেয়া হয়।
রেশমাকে উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে সেখানকার ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়।
রেশমাকে উদ্ধারের সময় তার চেহারা এবং পোশাক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রেশমা যে ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ‘তিনি বলেছিলেন যে ইট ও ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে হাতের ওপর ভর করে লাশের ওপর থেকে তিনি পানি সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তার হাত ও হাতের নখ সেই সাক্ষ্য বহন করে না।’
‘তাকে যখন বের করে আনা হয় তখন তার চোখ ছিল একেবারেই খোলা এবং উজ্জ্বল আলোতেও তার চোখে কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। তার পোশাকে কোনো ফাঁড়া ছিল না এবং তা ছিল পরিষ্কার।’
‘লোকজন এ নিয়ে সন্দিহান হলেও সরকার এটাকে অলৌকিক বলে হৈচৈ করতে থাকে। সবাইকে বোকা বানানো হয়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে রেশমা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সেখানে আমি ছিলাম, আপনারা নন। তাই আপনারা বুঝতে পারবেন না। এরপর সরকারের কর্মকর্তারা আর প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি। এটাও জানা গেছে যে, উদ্ধারের পর রেশমা আমেরিকায় যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হোটেলে চাকরি দেয়া হয়েছে।’
এক সপ্তাহ আগে নিরক্ষর রেশমাকে সরকার আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয় এবং জানানো হয় যে, তাকে ঢাকার পাঁচতারা একটি হোটেলের অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সেখানে মাসে বেতন ভাতা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। এটা বাংলাদেশের গড় বেতনের ১০ গুণ। তাকে আমেরিকায় যাওয়ারও অফার দেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার এ ব্যাপারে কথা বলতে মিররের সাংবাদিক রেশমার বাড়ি দিনাজপুরের রানীগঞ্জ যান। রেশমার মা জোবেদা এটাকে ভাঁওতাবাজি বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সবাই এটাকে অলৌকিক বলে মনে করেন। তবে তিনি বলেন যে, ‘রেশমা নতুন চাকরি পাওয়ার পর আমাদের হাতে এখন অনেক টাকা। আমাদের এখন ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল।’ জোবেদা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখতে পান রেশমার হাতে সামান্য দাগ ছাড়া সে বেশ ভালোই আছে। সেনাবাহিনী তাকে দেখাশোনা করছে। রেশমা তাকে জানান যে, তিনি সুখে আছেন।
এই ভাঁওতাবাজির ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে বাহিনীর মুখপাত্র নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর ১০ মে রেশমাকে উদ্ধার করা হয়। তখন এটাকে অলৌকিক ঘটনা বলেও প্রচার করা হয়।
ঢাকা থেকে সাইমন রাইটের পাঠানো এবং ‘বাংলাদেশ ক্লথস ফ্যাক্টরি ডিজাস্টার ইজ ব্র্যান্ডেড এ হোক্স বাই কলিগ অব উইম্যান রেসকিউড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমার সহকর্মী জানান, ভবন ধসের প্রথম দিনই বের হয়ে আসেন তিনি। অনুসন্ধানে মিরর জানতে পারে রেশমার ওই সহকর্মীও প্রথম দিনই তার (রেশমার) সঙ্গে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।তবে রেশমার ওই সহকর্মীর নাম প্রকাশ না করে মিরর জানায় যে, তিনি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমাকে উদ্ধারের কথা যেদিন প্রচার করা হয় সেদিন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ উল্লাস করেছিল।
গত ২৪ এপ্রিল সকালে অবৈধভাবে নির্মিত রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১,১২৯ জন লোক মারা যায়। রেশমার সহকর্মী ওই ভবনের তৃতীয় তলায় কাজ করতেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একত্রেই বের হয়ে আসি। আমরা উভয়ই ধ্বংসস্তূপ থেকে হেঁটে বের হই।’তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে দু’দিন ছিলাম। তারপর আর তার হদিস পাইনি। এর ১৭ দিন পর আমি তাকে টিভিতে দেখতে পাই। তারা বলেছিল এটা ছিল অলৌকিক। কিন্তু এটা ছিল বানোয়াট।’
এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য প্রায় সাড়ে ১০ লাখ প্রচার সংখ্যার মিরর পত্রিকার প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেন। সেখানে সরকার বিরোধী কর্মীরা বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর অপপ্রচার থেকে বাঁচতে এটা ছিল সরকারের একটি সাজানো নাটক।প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার প্রমাণ হিসেবে মিরর প্রতিনিধিকে রেকর্ড শোনানো হয়। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় তার নাম প্রকাশ করা হলো না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমাকে নিয়ে ভাঁওতাবাজির খবর প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশের সরকার বিরোধী দৈনিক ‘আমার দেশ’। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা রেশমার বাড়িওয়ালাকে জানান যে, উদ্ধার হওয়ার পর রেশমাকে এনাম মেডিকেলে চিকিত্সাও দেয়া হয়। রানা প্লাজার আশপাশের বাসিন্দারা জানান, রেশমাকে উদ্ধারের আগে তাদের রহস্যজনকভাবে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তাকে উদ্ধার করার পর আবার কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বাড়িতে ফিরতে দেয়া হয়।
রেশমাকে উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে সেখানকার ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়।
রেশমাকে উদ্ধারের সময় তার চেহারা এবং পোশাক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রেশমা যে ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ‘তিনি বলেছিলেন যে ইট ও ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে হাতের ওপর ভর করে লাশের ওপর থেকে তিনি পানি সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তার হাত ও হাতের নখ সেই সাক্ষ্য বহন করে না।’
‘তাকে যখন বের করে আনা হয় তখন তার চোখ ছিল একেবারেই খোলা এবং উজ্জ্বল আলোতেও তার চোখে কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। তার পোশাকে কোনো ফাঁড়া ছিল না এবং তা ছিল পরিষ্কার।’
‘লোকজন এ নিয়ে সন্দিহান হলেও সরকার এটাকে অলৌকিক বলে হৈচৈ করতে থাকে। সবাইকে বোকা বানানো হয়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে রেশমা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সেখানে আমি ছিলাম, আপনারা নন। তাই আপনারা বুঝতে পারবেন না। এরপর সরকারের কর্মকর্তারা আর প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি। এটাও জানা গেছে যে, উদ্ধারের পর রেশমা আমেরিকায় যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি হোটেলে চাকরি দেয়া হয়েছে।’
এক সপ্তাহ আগে নিরক্ষর রেশমাকে সরকার আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয় এবং জানানো হয় যে, তাকে ঢাকার পাঁচতারা একটি হোটেলের অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সেখানে মাসে বেতন ভাতা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। এটা বাংলাদেশের গড় বেতনের ১০ গুণ। তাকে আমেরিকায় যাওয়ারও অফার দেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার এ ব্যাপারে কথা বলতে মিররের সাংবাদিক রেশমার বাড়ি দিনাজপুরের রানীগঞ্জ যান। রেশমার মা জোবেদা এটাকে ভাঁওতাবাজি বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সবাই এটাকে অলৌকিক বলে মনে করেন। তবে তিনি বলেন যে, ‘রেশমা নতুন চাকরি পাওয়ার পর আমাদের হাতে এখন অনেক টাকা। আমাদের এখন ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল।’ জোবেদা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখতে পান রেশমার হাতে সামান্য দাগ ছাড়া সে বেশ ভালোই আছে। সেনাবাহিনী তাকে দেখাশোনা করছে। রেশমা তাকে জানান যে, তিনি সুখে আছেন।
এই ভাঁওতাবাজির ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে বাহিনীর মুখপাত্র নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
তথ্য
সুত্রঃ অনলাইন নিউজ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন