আমরা সবাই জানি ইন্টারনেটে দুই ভাবে ই পণ্য, তথ্য ও সেবা পাওয়া যায়, ফ্রি এবং পেইড, কিন্তু আমরা আসলে আংশিক সত্য জানি । সত্যিকার অর্থে ইন্টারনেটে যা ফ্রি বলে দেয়া হয় তা আসলে ফ্রি নয় । ইন্টারনেটে সার্চ করে গেইমস, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, সংবাদপত্র ইত্যাদি বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করলেও বাস্তবে কোনোটাই ফ্রি নয়। আপাত এইসব ফ্রি ও পণ্য ও সেবা প্রদানের বিনিময়ে গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইউজারদের বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করে বিক্রি করে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে। ডিজিটাল ফ্রি সার্ভিসের নামে এভাবেই ইউজারদের অজান্তে তাদের ব্যাক্তিগত ডেটা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয় গুগলের মত প্রতিষ্ঠান বলে জানায় সিএনএন।
গুগল এবং ফেইসবুকের এ কার্যক্রমকে ‘ভ্যালু এক্সচেঞ্জ’ বলেছেন প্রাইভেসি চয়েস ফাউন্ডার জিম ব্রোক। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই বুঝতে পারেন না যে, ফ্রি সার্ভিসের নামে এভাবে ভ্যালু এক্সচেঞ্জ করছে কোম্পানিগুলো।
২০১০ সালের ৬০ দিনে গুগলের সার্চ কার্যক্রম এবং সার্চ থেকে আয় জানতে পর্যবেক্ষণ করে প্রাইভেসি চয়েস। গবেষকরা বলেন, গুগল ২০১০ সালে প্রতি ১০০০ সার্চ রেজাল্ট প্রদর্শন করে ১৪ দশমিক ৭০ মার্কিন ডলার আয় করে।
উদাহরণ দিয়ে ব্যপারটা খোলাসা করতে গিয়ে ব্রোক আরো জানান, লাক্সারি হোটেল সার্চ করলে আপনার মূল্য গুগলের কাছে অনেক বেশি। কারণ, সার্চ রেজাল্টের পাশাপাশি গুগল সেখানে লাক্সারি হোটেলের কিছু বিজ্ঞাপনও প্রদর্শন করবে, যার মূল্য অন্য বিজ্ঞাপনের তুলনায় বেশি। এজন্য লাক্সারি হোটেল সার্চ করলেই অন্যদের তুলনায় আপনার মূল্য গুগলের কাছে বেড়ে যায়।
ব্রোক আরো জানান ফেইসবুকে তার বার্ষিক ভ্যালু ছিলো ১ দশমিক ৬৮ ডলার। কারণ তিনি ফেইসবুক তেমন ব্যবহার করেন না। কিন্তু ব্রোকের মেয়ের মূল্য ১২ ডলার। গুগলের কাছে তার মূল্য বছরে ৭০০ ডলারের বেশি, জানান ব্রোক।
ধন্যবাদান্তে,
হাসান ইমতি
অকপট
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।
তথ্যসুত্রঃ বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন