রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৩

রমজানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ।



আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের চেয়ে মাহে রমজানের খাদ্যাভ্যাস ব্যতিক্রম হওয়ায় অনেকের মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়একজন রোজাদার ব্যক্তি যদি রোজার পুরো মাস একটু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে তিনি সারা মাস সুস্থ থাকবেনসবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনতে হয় খাদ্যাভ্যাসে 
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরী-
 রমজানে চাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারএটি সুষম ও পরিমিতও হওয়া চাইসুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সুষম খাদ্য গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ
সারাদিন রোজার শেষে শরীর, বিশেষ করে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ খাবারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান চায়ইফতারির দু-একটা খেজুর ও একটু শরবত সে জোগান দিতে পারেসাথে পেঁয়াজু, ছোলা, মুড়ি, শসা শরীরের অন্যান্য চাহিদা মিটায়
রাতের খাবারে ভাত বা রুটি, প্রচুর সবজি, দু-এক টুকরা মাছ বা মাংস, দুধ ও ফল রাখতে হবে সেহরিতে একটু হালকা খাবারই ভাল এবং সেহরি অবশ্যই খেতে হবেসেহেরীর সময় অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিতশেষ রাতে শুধু এক গ্লাস পানি খেয়ে যারা রোজার নিয়ত করেন তাদেরকে অবশ্যই এই অভ্যাস পরিহার করতে হবে
ইফতার ও ঘুমানোর মধ্যবর্তী সময়ে প্রচুর পানি পান করতে হবেইফতার শুরু করবেন শরবত দিয়েবাজারে অনেক কৃত্রিম রঙ মেশানো শরবত পাওয়া যায়, এগুলো থেকে বিরত থাকবেন
রোজার সময় দেরিতে হজম হওয়া খাবার গ্রহণ করাই শ্রেয়এগুলো অনেকক্ষণ পেটে থাকেদেরিতে হজম হয় এরূপ খাবারের মধ্যে আছে কম ছাঁটা চাল, আটা, ডাল, গোশত ইত্যাদি
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার আটা, সিমের বিচি, ছোলা, শাকসবজি, ফল ইত্যাদি রাখতে পারেন রমজানে শরীরের খনিজ লবণের অভাব পূরণের জন্য শাকসবজি ও ফলমূল দরকার
ইফতারের পর যে কোন ধরনের মিষ্টি খাবার বা ডেজার্ট খাওয়া উত্তমপরিমাণে কম হওয়া চাইবুক জ্বালা, পেট ব্যথা, বদ হজম ও পেট ফেঁপা থেকে বাঁচতে ভাজা পোড়া, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, ডিম ইত্যাদি পরিত্যাগ করা উচিত
বাইরের খাবার কিনবেন নাসম্ভব হলে নিজেরা বানিয়ে খাবেনপুরনো তেলে বারবার ভাজলে ক্ষতিকর পলিনিউক্লিয়ার হাইড্রোকার্বন তৈরি হয় যার মধ্যে থাকে বেনজোপাইরিনএটা ক্যান্সার সৃষ্টি করে
সিগারেট, কফি, চা ও কোলা জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবেচা, কফির প্রতি যারা অতিমাত্রায় আকৃষ্ট তারা ইফতারের ঠিক পরের সময়টিতে এই আকর্ষণ এড়াতে ফ্রেশ জুস কিংবা ইয়োগার্ট দুধ পান করে চা-কফি থেকে দূরে থাকুন
সারা দিন রোজা রাখার পর শরবত একটি উত্তম পানীয়ডাবের পানি, আখের রস হলে আরো ভাল হয়একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে এটি পান করা উচিত নয়
রোজাদার ডায়াবেটিস রোগীর কিছু ঝুঁকি থাকেঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ঔষধ বা ইনসুলিনের ডোজ সমন্বয় করুন
সেহরির পর ঘুমানোর আগে ৫ থেকে ১০ মিনিট হাঁটাও একটা ব্যায়ামসম্ভব হলে ইফতারের পর হালকা এক্সারসাইজ যেমন ১৫ থেকে ২০ মিনিটা হাঁটাহাটি করার চেষ্টা করুনঅবশ্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সময় যে ওঠাবসা হয় তাতেও এক ধরনের ব্যায়াম হয়


হাসান ইমতি

অকপট  
সত্য যেথা দ্বিধাশূন্য, মুক্ত যেথা বাক ।  

থ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট ।        

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন