আয়তনে দেশের
সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশনের নগরপিতা নির্বাচিত হয়ে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত
প্রার্থী এম এ মান্নান বলেছেন, হারানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জনগণ বিজয়
ছিনিয়ে এনেছে ।
শনিবার দিনভর
ভোটগ্রহণ শেষে প্রায় ১২ঘণ্টা লেগে যায় সবকটি কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায়।
চূড়ান্ত ফলাফলে টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে
মান্নান পেয়েছেন ৩৬৫৪৪৪ ভোট। তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী
আজমত উল্লা খান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ২৫৮৮৬৭ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে
তার ভোটের ব্যবধান এক লাখ ৬ হাজার ৫৭৭ ভোট।
জয়ের প্রতিক্রিয়ায় মান্নান বলেন, “আমাকে
হারানোর জন্য সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্র ষড়যন্ত্র করেছে। জনগণ সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ষড়যন্ত্র না হলে আমি আড়াই লাখ
ভোটের ব্যবধানে জিততাম।”
সরকারের দুর্নীতি, হত্যা-গুম, খুন এবং বিশেষকরে হেফাজত ইস্যু
তাকে নগরপিতা হিসাবে
বেছে
নিতে প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মান্নানের
কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- সকাল থেকে কারচুপির যে অভিযোগ তিনি করে আসছিলেন সে
অবস্থানে কি এখনো অনড় থাকবেন?
জবাবে মান্নান
বলেন, “জিতে গেলাম
বলে অনিয়ম দূর হয়ে যায়নি। ষড়যন্ত্র হয়েছে।”
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দায়িত্ব পালনের
শুরুতেই গাজীপুরবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবেন বলে জানান বিএনপি
চেয়ারপার্সনের এই উপদেষ্টা।
খালেদা
জিয়াকে ফল জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ম্যাডাম আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। উন্নয়নমূলক
কাজ করতে বলেছেন।”
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল সমর্থক দুই
প্রার্থীসহ মোট সাতজন এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েছেন। এছাড়া ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৬ জন এবং সংরক্ষিত
১৯ কাউন্সিলর
পদে ১২৮ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মেয়র পদে অন্যদের মধ্যে তালা প্রতীক নিয়ে
আমান উল্লাহ, ডা. নাজিম
উদ্দিন আহমেদ ঘোড়া নিয়ে, মো. মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল
হাঁস নিয়ে, রিনা সুলতানা
প্রজাপতি এবং
জাহাঙ্গীর আলম আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এই সিটির ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ৪ লাখ ৯৯ হাজার
১৬১ নারী এবং ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন পুরুষ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন